মাদারীপুরে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আন্দোনকারীদের পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা প্রাণে বাঁচতে শহরের শকুনি লেকে ঝাঁপ দেয়। পরে অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠলেও ৩ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
৩ জন নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, শকুনি লেকে নিখোঁজের খবর পেয়ে ৪ জন ডুবুরি এ মুহূর্তে তৎপরতা চালাচ্ছেন। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হলে জানানো হবে।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৫০টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে ৬ জনকে আটক করা হয়।
জানা যায়, মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দেয় কোটা আন্দোলনকারীরা। পরে তাদের অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন পুলিশ। কিন্তু সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীরাও পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়ে তাদের ধাওয়া করে। প্রায় আধাঘণ্টার এ সংঘর্ষে আল-আমীন, রফিকুল ইসলাম রফি, মিঠু হোসেন, শহিদুর রহমান, খাদিজা ও রিফাত মুন্সী নামে ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাসুম বিল্লাহ বলেন, যেকোনো উপায়ে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। এ জন্য ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কসহ মাদারীপুরে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এর আগেও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মস্তফাপুর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে। পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ওই সময় আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য করুন