কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। প্রায়ই ঘটছে চুরির ঘটনা। চোরের কবল থেকে বাদ যাচ্ছে না ধর্মীয় উপাসনালয়ও। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার লক্ষণপুর ইউপির বানঘর গ্রামে একদিনের ব্যবধানে ৩ মসজিদে চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বানঘর পূর্বপাড়া মজুমদার বাড়ি মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান বলেন, সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে মসজিদে চুরির ঘটনা ঘটে। তালা ভেঙে একটি ব্যাটারি ও ক্যাশবাক্স নিয়ে গেছে চোর। এতে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
একই রাতে স্থানীয় বানঘর মিজিবাড়ী জামে মসজিদেও চুরির ঘটনা ঘটে। ব্যাটারি ও ক্যাশবাক্স ভেঙে নগদ টাকা নিয়ে যাওয়ায় প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা ক্ষতিসাধিত হওয়ার কথা জানান মসজিদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা।
বানঘর তাহের চেয়ারম্যান বাড়ির বায়তুত ত্বাকওয়া মসজিদের মোয়াজ্জিন মাওলানা মো. রিয়াজ হোসেন বলেন, গত ১৩ জুলাই এশার নামাজ শেষে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যাই। ফজরের নামাজের আজান দিতে গিয়ে জামাকাপড় এলোমেলো দেখতে পাই। পরে সন্দেহ হলে মসজিদের অন্য জিনিসপত্র ঠিক আছে কিনা চেক করতে গিয়ে দেখি ক্যাশবাক্স নেই। নামাজের পর বিষয়টি জানাজানি হলে পরে মসজিদের ক্যাশবাক্সটি পাশের পুকুরপাড়ে ও চুরি যাওয়া ম্যানিব্যাগটি মসজিদের দোতলার ছাদে পাওয়া যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক এখনই বলা যাচ্ছে না।
পূর্ব থেকেই চুরেরা মসজিদের ছাদে ওত পেতে ছিল বলে ধারণা করছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
এলাকাবাসী জানান, গত ৩ মাসের মধ্যে আশপাশের এলাকায় অটোরিকশা চুরি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরঞ্জামাদি, মসজিদের মাইক, ব্যাটারিসহ বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা সংঘবদ্ধ চোরের এ চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় রাতে চোরের উপদ্রব আরও বেড়ে গেছে। এসব চুরির ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ আবু মো শাহজাহান কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চুরির ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ পাইনি। এমন কিছু পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন