নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে জসিম নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন, উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের বারাহীনগর গ্রামের পাইকের বাড়ির মৃত মোস্তফা সর্দারের ছেলে মো.লোকমান ও একই ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামের সর্দার বাড়ির শেখ আব্দুল আজিজের ছেলে আশরাফুল ইসলাম রাব্বি ওরফে শেখ রাব্বি।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সোনাইমুড়ী ও চাঁদপুর থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাতঘরিয়া গ্রামের সর্দার বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আসামি রাব্বির বরাত দিয়ে সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন জানান, দেড় মাস আগে আসামি সায়মনের একটি ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ মোটরসাইকেল ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ভিকটিম জসিম উদ্দিন নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
একপর্যায়ে জসিম মোটরসাইকেল ও মোবাইল দিয়ে দেওয়ার শর্তে সায়মনের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়। টাকা নেওয়ার পরেও মোটরসাইকেল ও মোবাইল না দিলে সায়মন গোপনে জসিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
গত ১৪ জুলাই মামলার ১ নম্বর আসামি সায়মন তার দুই বন্ধুসহ একটি মোটরসাইকেলে জসিমের বাড়িতে গিয়ে মোটরসাইকেল ও টাকা প্রদানের বিষয় নিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। পরের দিন ১৫ জুলাই দুপুর ৩টার দিকে জসিম নিজ বাড়িতে আসলে সায়মনকে কল করে জসিমের বাড়িতে আসার সংবাদটি জানায় রাব্বি।
এর কিছুক্ষণ পরেই সায়মন একটি মোটরসাইকেলে করে দুজনকে নিয়ে জসিমের বাড়িতে যায়। এর মধ্যে সায়মনের বাবা লোকমান অন্য একটি মোটরসাইকেলেজসিমের বাড়ির সামনে যায়। পরে হঠাৎ বাড়ির ভেতরে গুলির শব্দ হয়। তারপর সায়মন ও তার দুই বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
আসামি রাব্বি ২০ হাজার টাকার প্রলোভনে সায়মনের বড় ভাই দুলালের কথা মতো সায়মনকে ভিকটিম জসিম উদ্দিনের বাড়িতে আসার খবর জানায়।
ওসি বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, মামলা দায়েরের ১২ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতে ১৬৪ ধারায় আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন