ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন কোটা আন্দোলনকারীসহ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবিন আহত হন।
জানা যায়, সারা দেশে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে সভা করেন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় সভাস্থলে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। তারা আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান। তবে সভাস্থলের আশপাশ এলাকায় অন্তত ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আন্দোলনকারীরা সভাস্থান ত্যাগ করে চলে যান।
এর কিছুক্ষণ পর শহরের কাউতলী এলাকা থেকে আন্দোলনকারীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি স্টেডিয়াম এলাকায় আসার পর ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। এতে আন্দোলকারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবিনসহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়।
এদিকে বাদ জোহর শহরের টেংকের পাড় এলাকায় সারা দেশে নিহত নেতাদের মৃত্যুতে গায়েবি জানাজা পড়ে ছাত্রলীগ। এতে জেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আমরা আমাদের অবস্থান থেকে তাদের সহযোগিতা করেছি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে। তবে জামায়াত, বিএনপি ও শিবিরের কর্মীরা এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। দুপুরে তারা লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল হাতে রাস্তায় নামে। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী তাদের থামাতে গেলে তাদের হামলায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মী আহত হয়।
তিনি বলেন, কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তা প্রতিরোধ করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল বিল্লাল হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশ সদস্যরা মাঠে কাজ করছে। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন