নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বস্তায় আদা চাষ উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষিবিদ লোকমান আলম।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বাড়ির উঠানে ও আনাচে-কানাচে বস্তায় আদা চাষ করতে অনেক চাষিকে দেখা যায়।
নিতাই ইউনিয়নের রোকন ইবনে আজিজ ২৫০০ বস্তায় আদা চাষ করেছেন সিঙ্গেরগাড়ি পারেরহাট এলাকার কৃষক ফারুক মণ্ডলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসারের সহায়তায় ৪৭০০ বস্তায় আদা চাষ করেছি। ২০০ বস্তা নষ্ট হওয়ার পরও আশা করছি ৭-৮ লাখ টাকা লাভ হবে।
মাগুরা ইউনিয়নের মিয়া পাড়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া পতিত জমিতে দেশি জাতের ১০৩০ বস্তায় আদার চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ব্যয়ের তুলনায় লাভ বেশি হবে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের কৃষক আ.কাদের বাড়ির আশপাশ উঠানে ৩০ শতাংশ পতিত জমিতে ৬৭৩৫টি বস্তায় আদা চাষ করে পুরো উপজেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
আদা চাষি আ. কাদের বলেন, বস্তায় আদা আবাদ করায় এবং গাছের চেহারা ভালো হওয়ায় অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে দেখতে আসেন।
আদা খেতে কাজ করা অবস্থায় আনন্দে হাসতে হাসতে কালবেলাকে বলেন, বাহে আমি এই এলাকার প্রকৃত আদা চাষি। ২০ বছর ধরে এই আদার চাষ করতে গিয়ে সঠিক বাজার না পাওয়ায় ধ্বংস হচুং। এবারে আল্লাহর রহমতে কৃষি অফিসারের পরামর্শে ৬৭৩৫ বস্তায় ৬ টাকা করে কিনে ২৫৮ কেজি বীজ আদা রোপণ করছুং। খরচ হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। পিলাই উঠে বিক্রি করছুং ৬০ হাজার টাকা। এখন আদার কেজি ৩০০ টাকা। উত্তলনের সময় ২০০ টাকা কেজি বাজার পেলে ১০ লাখ টাকার উপরে লাভ হবে, যা ২০ বছরের লোকসান উঠিয়ে কমর খাড়া হইবে বাপো।
উপজেলা কৃষিবিদ লোকমান আলম বলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আদার এক প্রকার (রাইজোম রট) রোগ ছিল এ জন্য অধিকাংশ আদা চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি লাভজনক। চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় ৫৮৪০০ বস্তায় আদার চাষ হয়েছে। বাজার ভালো থাকলে লাভ হবে।
মন্তব্য করুন