কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ফুচকা খেয়ে ছয় স্কুলশিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের সলাকান্দি জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
সলাকান্দি জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোবারক হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিদ্যালয় ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে টিফিনের ছুটি চলাকালীন সময়ে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের সলাকান্দি গোলক চন্দ্র (জিসি) উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী স্কুলের পাশের আব্দুস সোবহানের দোকান থেকে ফুচকা কিনে খায়। কিছুক্ষণ পরই ফুচকা খাওয়া ছাত্রীদের ছয়জন বমি করাসহ ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অসুস্থ হয়ে পড়া ছাত্রীরা হলেন- কামরুন্নাহার, লুৎফুন্নাহার, সাথী, ঝুমুর, মরিয়ম, আনিশা ও মারিয়া। তারা সবাই বিদ্যালয়ের আশপাশের গ্রামের বাসিন্দা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অসুস্থ ছাত্রীদের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে কিছুটা সুস্থ হলে অভিভাবকরা এসে তাদের বাড়ি নিয়ে যান।
এদিকে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ হওয়ার খবরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরাসহ সচেতন মহল বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ফুচকা দোকানদার আব্দুস সোবহানকে মোবাইল ফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি কলটি কেটে দেওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘দুপুরে টিফিন আওয়ারে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী পাশের একটি দোকান থেকে ফুচকা খায়। পরে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ অন্যদের অবহিত করা হয়েছে।’
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনির হোসেন বলেন, ‘ফুড পয়জনিংয়ের কারণে ৬ ছাত্রী অসুস্থ হয়েছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় আঙিনায় যাতে কেউ অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘোলপাশা ইউপি চেয়ারম্যান এ কে খোকন জানান, ‘বিষয়টি সম্পর্কে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।’
চৌদ্দগ্রাম মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম মীর হোসেন বলেন, ‘এই মাত্র বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানলাম। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন