নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ছাগলকাণ্ড ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) উপজেলার নলদী ইউনিয়নের নালিয়া গ্রামে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ওই সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জনকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন নারী রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে শওকত খান গ্রুপের মফিজ খানের বাড়িতে থাকা এক শ্রমিকের বিরুদ্ধে পাট খেতে ছাগলের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তোলে প্রতিপক্ষ রবি খানের লোকজন। এ ঘটনা নিয়ে সোমবার সকালে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে দুই নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় আহতদের উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, নালিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষ দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়িত রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ওই গ্রামের শওকত খান এবং অন্য পক্ষের নেতৃত্বে আছেন রবি খান।
সংঘর্ষে রবি খান পক্ষের আহত ব্যক্তিরা হলেন- জরিনা বেগম, সাবিনা বেগম, জামশেদ খান, আকাশ মল্লিক, নান্নু মল্লিক, ইকবাল খান, সোহাগ খান ও খয়বার। শওকত খান পক্ষের আহত হয়েছেন আসাদ খান, মুন্নাফ খান, ইন্দাদুল খান ও আজাদ মোল্লা। এই ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত পাঁচজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তি ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল সাতটার দিকে গ্রামের শওকত খান পক্ষের মফিজ খানের বাড়িতে বিচার চাইতে গেলে দুপক্ষের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ ঢাল, সড়কি, রামদা ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। নলদী ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন রায় বলেন, মূলত দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশ টহল দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন