টাঙ্গাইলে বন্যায় ৩০ হাজার কৃষকের প্রায় ৫৮ কোটি টাকার ফসল ক্ষতি হয়েছে। যমুনাসহ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। সড়ক ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানির তীব্র স্রোতে ভূঞাপুর উপজেলার কয়েড়া এলাকায় সড়ক ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাঠে বন্যার পানি উঠায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
জানা যায়, ১২৩টি গ্রামে ৫৯ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি রয়েছে। অপরদিকে বন্যায় ৬টি উপজেলায় ৬০১ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে । এতে করে বন্যায় প্রায় ২৯ হাজার ৩৩৫ কৃষকের ৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৩৩৫ কৃষকের ৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিভাবে ধারণা করছি। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকাও করা হাচ্ছে। কৃষকদের জন্য সরকারি প্রণোদনা এলে সেটি ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে।
এদিকে টাঙ্গাইল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ফাহিম হাসান বলেন, জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় জিআরের ২০ টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুই হাজার করে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে, প্রয়োজন হলেই দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন