খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো থেকে নিজের ব্যক্তিগত অস্ত্র ঠেকিয়ে ট্যাংকলরি ড্রাইভার ও মিটারম্যানদের থেকে নিয়মিত তেল আদায় করতেন আ.লীগ নেতা শেখ ফরহাদ হোসেন। এতে তিনি তার ব্যবহৃত শটগান ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখাতেন। তিনি খুলনা নগরীর খালিশপুর থানার ৭নং ওয়ার্ড আ.লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। পরে তার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপোগুলোর ডেলিভারি পয়েন্টে ট্যাংকলরি ড্রাইভার, হেলপার ও মিটারম্যানদের চাপ প্রয়োগ করে জোরপূর্বক তেল আদায় করতেন খুলনার আ.লীগ নেতা শেখ ফরহাদ হোসেন।
গত ২৯ মে লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে প্রশাসন থেকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয় ফরহাদ হোসেনকে। গত ২ জুলাই তিনি কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিলে সেটা সন্তোষজনক না হওয়ায় তার লাইসেন্সটি বাতিল করে নিকটস্থ থানায় বন্দুক জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
নগরীর ৭নং ওয়ার্ড আ.লীগের সদস্য মো. জিয়াউর রহমান জানান, ফরহাদ হোসেন ওয়ার্ড আ.লীগের ১নং সদস্য পদে আছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে জোর করে তেল আদায় করতেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ায় তার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত অস্ত্র নিয়ে শোকজ করা হলে তিনি তার সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
খালিশপুর থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ফরহাদ হোসেন জেলা প্রশাসকের নির্দেশে থানায় অস্ত্র জমা দিয়েছেন।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ফরহাদ হোসেনের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। মূলত বিপিসি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করার পর সেটা তদন্ত করা হয়। এরপর তার লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চলতি মাসের শুরুতেই তার লাইসেন্স বাতিল করে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।