কুড়িগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচির শেষপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ওপর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন তিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী। সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে জেলা শহরের কলেজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ছাত্র ইউনিয়ন কুড়িগ্রাম জেলা সংসদের সভাপতি ও কুড়িগ্রাম কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক অনিরুদ্ধ প্রণয়, সংস্কার আন্দোলন কুড়িগ্রামের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদিকুর রহমান ও সাধারণ শিক্ষার্থী রতন অধিকারী।
আন্দোলনকারীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের কলেজ মোড় থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল জেলার জিরো পয়েন্টে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় ২০ মিনিট সড়ক অবরোধের পর প্রতিবাদ সভা শেষ করে আবার বিক্ষোভ মিছিলসহ কলেজ মোড়ের টাউন হল ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষ হওয়ার মুহূর্তেই কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. গাদ্দাফিসহ কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা চালান। হামলায় আহতরা বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সংস্কার আন্দোলন কুড়িগ্রামের আহ্বায়ক অনিরুদ্ধ প্রণয় বলেন, আমরা সাংগঠনিকভাবে প্রতিবাদ সভা করেছিলাম। সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে শান্তিপূর্ণভাবে কোটা সংস্কারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা শেষ করে প্রেস ব্রিফিং করছিলাম। প্রেস ব্রিফিং শেষ করে সাংবাদিকরা চলে যাওয়ার পর কলেজ শাখার গাদ্দাফি বিদ্যুৎসহ ছাত্রলীগের ৪০ জন আমাদের ওপর হামলা চালায়।
হামলার বিষয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.গাদ্দাফি বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। তাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ হামলা বিষয়ে বলেন, কুড়িগ্রাম একটি পিছিয়ে পড়া জেলা। এ জেলায় কোটা নিয়ে দুটি মত রয়েছে । একটি পক্ষ কোটার পক্ষে, অন্যটি বিপক্ষে। ছাত্রলীগের ব্যানারে নয় বরং সাধারণ শিক্ষার্থীর একটি পক্ষ যারা কোটার বিপক্ষে তারাই আন্দোলনকারীদের নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেছে। এখানে ছাত্রলীগ নামটি শুধু শুধু ট্যাগ দিয়ে জড়ানো হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এ কে এম ওহিদুন্নবী বলেন, হামলাকারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এ ঘটনার রেশ ধরে কেউ যাতে শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে নজরদারি রয়েছে।
মন্তব্য করুন