রাজশাহীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাজশাহী জেলা ও মহানগর যুবলীগ। সোমবার (১৪ জুলাই) এক অবস্থান কর্মসূচি থেকে এমন ঘোষণা দেন তারা। পৃথক আরেক কর্মসূচির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
জানা গেছে, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে মহানগর যুবলীগ। কর্মসূচিতে যুবলীগ নেতারা বলেন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করতেই মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা স্বাধীনতাবিরোধীদের মদদপুষ্ঠ তথাকথিত কোটাবিরোধীরা আজ মাঠে নেমেছে। কোটা আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে রোববার রাতে স্বঘোষিত রাজাকার ও রাজাকারের সন্তান হিসেবে নিজেদের পরিচয় দানকারী এদের কারা সংগঠিত করছে? এদের মদদদাতা ও অর্থদাতাদের চিহ্নিত করা সময়ের দাবি। এরা মাথায় লাল-সবুজের পতাকা থাকতে পারে না। রাজাকার শাবকদের প্রতি নমনীয়তা দেখানোর কোনো সুযোগ নাই। এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের রুখে দেওয়ার ঘোষণা দেন যুবলীগ নেতারা।
মহানগর যুবলীগ সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান খাঁন মণির সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে রাজশাহী মহানগর আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, মতিহার থানা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি মোখলেসুর রহমান মিলন, মুকুল শেখ, অ্যাডভোকেট মাজেদুল আলম শিবলী, জয়নাল আবেদীন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রায়হানুর রহমান রয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব, অরবিন্দ দত্ত বাপ্পি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সোমবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর কামারুজ্জামান চত্বরে একই কর্মসূচি পালন করেছে জেলা যুবলীগ। তারাও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের রুখে দিতে মঙ্গলবার থেকে রাজপথে থেকে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। অবস্থান কর্মসূচিতে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত সৈকত, সহসভাপতি মোজাহিদ হোসেন মানিক, আরিফুল ইসলাম রাজা, কাজী মোজাম্মেল হক, ওয়াসিম রেজা লিটন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন মিলন, সেজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম মিঠুসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার সকাল ১০টার দিকে মহানগরীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বরে ‘চলো যাই যুদ্ধে, অসংগতির বিরুদ্ধে’ এই স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। সংগঠনটির সাধারণ কামরুল ইসলাম মিঠুর সঞ্চালনায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মোল্লা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সহসভাপতি মাসুম আক্তার শিশির, মাসুম আল রশিদ, শরিফুজ্জামান তুহিন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সাত্তার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃতি করে মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিজেদের রাজাকার দাবি করে আন্দোলনে নতুন মোড় নেওয়ার চেষ্টা করছে। বিএনপি-জামায়াতের মদদে তারা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের এই হীন প্রচেষ্টা কখনোই সফল হবে না। তারা আন্দোলনের নামে রাজপথে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান ও লাঞ্ছিত করছে। জাতীয় পতাকা পদদলিত করছে। তাই এরা কী চায় দেশের মানুষের আর বোঝার বাকি নেই। তাই যেখানেই তারা এমন আন্দোলন করবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে তাদের রুখে দেবে।
মন্তব্য করুন