বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি:
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:১৭ এএম
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
লিবিয়ায় বাংলাদেশির আকুতি

‘সুমন ভাই আপনি আমাদের বাঁচান’

মো. রবিউল ইসলাম (বাঁয়ে), ব্যারিস্টার সুমন (ডানে)। ছবি : সংগৃহীত
মো. রবিউল ইসলাম (বাঁয়ে), ব্যারিস্টার সুমন (ডানে)। ছবি : সংগৃহীত

‘বাবা আমি রবিউল, আমি ত্রিপুলি মাতার জেলে আছি। আমার সাথে আরো ৬০ জন বাংলাদেশি। সবাই অনেক কষ্টে আছি। এখানে বেশিদিন থাকলে এমনি মরে যাব। এখান থেকে আমাদের দেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করো। এখান থেকে আমাদের দেশে নিয়ে যেতে পারবে চুনারুঘাটের এমপি ব্যারিস্টার সুমন ভাই।’ এরকম লেখা একটি চিরকুট বাবাকে পাঠিয়েছেন লিবিয়ায় বন্দি থাকা মো. রবিউল ইসলাম (২৩)। সে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কারিকোনা গ্রামের মো. সিরাজুল হকের ছেলে।

রবিউলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিউল ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই বিমান যোগে দুবাই যান। সেখানে লিবিয়ার অধিবাসী জনৈক আব্দুর রহমানের সঙ্গে পরিচয় হলে গত ১৫ আগস্ট আব্দুর রহমান উন্নত চাকরির আশ্বাস দিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে যান। লিবিয়ায় ৬মাস চাকরিও করেছেন রবিউল। সেখান থেকে ইউরোপে যেতে চাইলে বাংলাদেশি আহসান খান নামের এক দালালের হাতে রবিউলকে তুলে দেন আব্দুর রহমান। আহসান রবিউলের কাছে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি করেন। অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে। এ খবর দেশে আসলে ছেলেকে বাঁচানোর জন্য রবিউলের মা নাছিমা বেগম প্রথমে ২লাখ টাকা প্রেরণ করেন। এ টাকা পেয়ে আহসান সন্তুষ্ট না হয়ে রবিউলকে মাফিয়া চক্রের হাতে তুলে দেন।

গত ১২জুন লিবিয়ার বেলকাজি হতে রবিউলসহ ৬০ বাংলাদেশিকে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি মাতার জেলে পাঠানো হয়। সেখানে চরম নির্যাতনের শিকার হয় রবিউল। দেড় মাস আগে রবিউল +২১৮৯৩০৭৪৭৪৬৩ নাম্বার থেকে তার মায়ের ইমু নাম্বারে একটি চিরকুটের ছবি তুলে পাঠান। এরপর রবিউলের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি পরিবারের।

ছেলের জীবন বাঁচাতে মা বাংলাদেশ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের নিকট লিবিয়ার জেল থেকে মুক্ত করতে আবেদন করেন। ড. মোমেন বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর বরাবরে প্রেরণ করেন। গত ৪ জুলাই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আটক রবিউলকে ফেরত আনতে লিবিয়া দূতাবাসে চিঠি পাঠান।

শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে রবিউলের মা নাছিমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার ছেলেকে লিবিয়ার জেল থেকে উদ্ধারে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি ব্যারিস্টার সুমনের সাহেবের সহায়তা কামনা করছি। জেলে আটককৃতদের জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার না করলে তাদের করুণ পরিণতি ঘটতে পারে।

এদিকে, রবিউল এর আগেও টুকরো টুকরো কাগজে আরও চারটি চিরকুট পাঠিয়েছেন সেখানেও ব্যারিস্টার সুমনের কথা উল্লেখ করেছে সে। তবে, ব্যারিস্টার সুমনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নি বলে জানিয়েছেন রবিউলের পরিবার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দাবানলে ৬০ লাখের বেশি মানুষ মারাত্মক ঝুঁকিতে

সরাইলে বিএনপির নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল

মানিকগঞ্জে নিজ বাড়িতে নারীকে গলা কেটে হত্যা 

ভৈরবে আ.লীগ কার্যালয় থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

আন্দোলন-ধর্মঘটে ‘কার্যত অচল’ রাবি, ব্যাহত শিক্ষার পরিবেশ

রাজবাড়ীতে জমি বন্ধক নিয়ে গাঁজা চাষ, চাষি আটক

টিউলিপের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ তদন্ত প্রতিবেদনে যা ছিল

নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন

ভারত থেকে এলো ২৪৫০ টন চাল

নারায়ণগঞ্জে আগুনে পুড়ল দুই কারখানা

১০

উপসচিব বিতর্ক এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্যের বাস্তবতা 

১১

কিশোরগঞ্জে হাসপাতালে ভুল ইনজেকশনে ২ রোগীর মৃত্যু

১২

আবারও আসছে শৈত্যপ্রবাহ

১৩

দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে শক্তিশালী মালদ্বীপের পাসপোর্ট

১৪

কুয়াশা ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা

১৫

দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন দাবানলকে ভয়াবহ করছে আরও

১৬

ধুম ৪-এ রণবীর

১৭

আমি কারাগারে বৈষম্যের শিকার : পলক

১৮

পয়েন্ট হারানোর পর গোলকিপারের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন গার্দিওলা

১৯

লালমনিরহাটে পেট্রল পাম্প থেকে বাস চুরি

২০
X