গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দিয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রত্যয়ন যাচাই ও মামলার নির্দেশ দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। নির্দেশের দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, গত ২১ মে এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়েছে, কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক রেহেনা ইয়াসমীনের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রত্যয়নপত্রটি যাচাইকালে ভুয়া ও জাল বলে প্রমাণিত হয়। জাল ও ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দিয়ে কলেজে প্রভাষক পদে নিয়োগ নেওয়ায় রেহেনা ইয়াসমীন নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে এনটিআরসিএকে অবহিত করার জন্য কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ।
কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর প্রেরিত ওই পত্রের অনুলিপি দেওয়া হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ফুলছড়ি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ফুলছড়ি থানার ওসিকে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও এনটিআরসিএর নির্দেশ অনুযায়ী কলেজের অধ্যক্ষ থানায় কোনো মামলা করেননি। এ ছাড়া ওই শিক্ষক নিয়মিত কলেজে আসা-যাওয়া করছেন।
কলেজশিক্ষিকা রেহেনা ইয়াসমীন বলেন, আমার সব কাগজপত্র কলেজসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে জমা দেওয়া আছে। এ বিষয়ে আমার বেতনসহ সবকিছু কলেজের অধ্যক্ষ স্যার করেছেন।
তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে যদি আমার রিজিক থাকে তাহলে আমি চাকরিটা পাব আর যদি না থাকে তাহলে পাব না। অধ্যক্ষ স্যার আমাকে কখনোই বলেননি যে এ কাগজপত্রে চাকরি হবে না। স্যার যদি আমাকে একবারের জন্যও বলতেন এ কাগজে চাকরি হবে না তাহলে আমি টাকা-পয়সা খরচ করতাম না। কাগজপত্র ঠিক করতে ধাপে ধাপে যখন যে টাকা লাগছে আমি স্যারকে দিয়েছি।
কলেজের অধ্যক্ষ এটিএম রাশেদুজ্জামান রোকন কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জেনেছি। কিন্তু কোনো পত্র হাতে পাইনি। এ ব্যাপারে গভর্নিংবডির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই শিক্ষক কলেজে যাতায়াত করছেন, তবে তার জন্য আলাদা হাজিরা খাতা আছে।
কঞ্চিপাড়া ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন বলেন, বিষয়টি আমি জানি। গভর্নিংবডির সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ফুলছড়ি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মনিরুল হাসানের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন