ভোলায় কোটাবিরোধী কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া ও পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টায় ভোলা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সারা দেশের কোটাবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচির মতো ভোলা সরকারি কলেজে কোটাবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোলা কলেজের সামনে জড়ো হতে থাকেন তারা। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। এতে পণ্ড হয়ে যায় কোটাবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি। এ সময় দুজন শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে জমায়েত হচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জমায়েত থেকে ছাত্রলীগের নেতারা সাধারণ শিক্ষার্থী জহির উদ্দিন, আবুল কাশেমসহ দুই-তিনজনকে ধরে নিয়ে যান। ওই শিক্ষার্থীরা একটি রক্তদান সংগঠনে কাজ করেন। দুই ঘণ্টার মতো তাদের আটকে রেখে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে তাদের ছেড়ে দেন। পরে তারা স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অপরদিকে ছাত্রলীগ কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে কলেজের সামনে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন।
এ বিষয়ে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাইহান আহমেদ কালবেলাকে বলেন, কিছু জামায়াত-শিবিরের পদধারী কর্মী কোটাবিরোধী কর্মসূচির নামে কলেজের পরিবেশ অশান্ত করতে পরিকল্পিতভাবে রাস্তায় জড়ো হয়। কিন্তু কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ না করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আন্দোলনের আহ্বানকারীদের একজন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ জানান, তারাও চান মেধার ভিত্তিতে সবার চাকরি হোক। এখন চাকরি হচ্ছে বিভিন্ন কোটায়। তাই ঢাকা-চট্টগ্রামের কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে তারা কয়েকজন শিক্ষার্থী একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলনের ডাক দেন। ভোলা সরকারি কলেজের সামনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করেন। সব শিক্ষার্থী যখন ভোলা কলেজের সামনে জমায়েত হন, তখন ছাত্রলীগের নেতারা কয়েকজনকে সন্দেহজনকভাবে ধরে নিয়ে যায়। ২ ঘণ্টা আটকে রেখে বেধড়ক পিটিয়ে তাদের আহত করে। পরে ছেড়ে দেয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ছাত্রলীগ ধাওয়া করে আন্দোলন কর্মসূচি পণ্ড করে দেয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভোলা সদর সার্কেল) রিপন কুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে আমরা ভোলা কলেজের সামনে অবস্থান নেই। কোটাবিরোধী কোনো কর্মসূচি আমরা দেখতে পাইনি।