পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে গণধোলাই খাওয়া সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. সবুজ সরদারকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃত সবুজ সরদার ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ৭ জুলাই দৈনিক কালবেলাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকালাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. বুলবুল হাসানকে (সবুজ সরদার) তার সাংগঠনিক পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। সেই সঙ্গে স্থায়ীভাবে তাকে বহিষ্কারের জন্য ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমিটির কাছে পাঠানো হলো।
জানা গেছে, দলীয়পদ ব্যবহার করে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন সবুজ। তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। তবে সংসার ফেলে পাশের মুরাটিয়া গ্রামের চার সন্তানের জননী এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
প্রায়ই ওই নারীর বাড়িতে এসে দেখা করতেন। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ৬ জুলাই সকালে ওই নারীর সঙ্গে ফের দেখা করতে আসলে গ্রামবাসী তাকে ধরে ফেলেন। পরে তাকে চেয়ারে বেঁধে গণধোলাই দেন।
এ ঘটনার ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। অপরদিকে ১ মিনিট ২ সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি মঞ্চে এক নারীর সঙ্গে নাচছেন সবুজ। এ সময় তার হাতে মদের বোতল ছিল। যা নাচের তালে তালে খেতে থাকেন তিনি। এ সব ঘটনা নিয়েও দৈনিক কালবেলাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল বলেন, সবুজ দলীয় আদর্শের তোয়াক্কা না করে নানা অপকর্ম ও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তার এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে গত ৭ জুলাই গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নজরে আসে।
পরে ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই করতে জেলা কমিটির পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটি তদন্ত করে ঘটনা সত্যতা পাওয়ার পর জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবুজকে তার দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।