চুয়াডাঙ্গা থেকে অপহৃত তানজিল হোসেন (১২) নামে এক শিশুকে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বিদ্যাধরপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অপহরণকারী মো. রনি (৩০) কে গণধোলাই দিয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনগণ।
অপহরণকারী রনি মেহেরপুর পৌর এলাকার ক্যশবপাড়ার ইসমাইলের ছেলে। এবং অপহৃত শিশু তানজিল হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সাতগাড়ি এলাকার আনোয়ারের ছেলে। তবে ঘটনার পর ৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়ে গেলেও মুজিবনগর থানা পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি ঘটনাটি অপহরণ কি না।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে অপহরণকারী রনি অপহৃত শিশুটিকে নিয়ে বিদ্যাধরপুর ব্রিজ এলাকায় এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তাদের গতিবিধি দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় অপহরণকারী রনি অসংলগ্ন উত্তর দিলে, স্থানীয় জনগণ তাকে উত্তম মধ্যম দেয় এবং মুজিবনগর থানায় ঘটনাটি অবহিত করে।
খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা থেকে এস আই সাজ্জাদের নেতৃত্বে একটি দল গিয়ে দুজনকে হেফাজতে নেয়। অপহৃত শিশু তানজিল বর্তমানে থানা পুলিশ হেফাজতে এবং অপহরণকারী রনি পুলিশ প্রহরায় মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটি ভ্যানসহ হারিয়ে যাওয়ার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিলো। এজন্য তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টি অপহরণ অথবা অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা সে বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা তদন্ত সাপেক্ষে বলতে পারবে।
অপহৃত শিশু তানজিল জানায়, সে একজন ব্যাটারি চালিত পাখি ভ্যান চালক। দিন ৬০০ টাকা চুক্তিতে রনি তাকে ভাড়া করে মেহেরপুর নিয়ে যায়। এরপর ভাড়া না মিটিয়ে ৩ দিন যাবৎ এদিক সেদিক ঘোরাতে থাকে।
মুজিবনগর থানার ওসি উজ্জ্বল কুমার দত্ত কালবেলাকে বলেন, শিশুটি ভ্যানসহ নিরুদ্দেশ হবার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিলো। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এস আই সৈকত সেটির তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি মুজিবনগর থানায় গেলে অপহৃত শিশু ও অপহরণকারীকে তার কাছে হস্তান্তর করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা বলতে পারবে বিষয়টি অপহরণ কি না।