স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগীর চাচা এবং ভাইকে মারপিট ও হত্যাচেষ্টা মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে র্যাব-৫ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার (১০ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার টাঙ্গন পূর্বপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৫ এর সদস্যরা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ওই এলাকার মো. ঈশার ছেলে মো. নাহিদ (২০), মো. আজিমের ছেলে মো. জয় (২১), মো. মিজানের ছেলে মো. মারুফ (২১), পলাশের ছেলে রাকেশ (২০) ও মো. হাইদুলের ছেলে মাহি (২০)।
র্যাব সূত্র জানায়, গত প্রায় ৫ মাস আগে একই এলাকার ভুক্তভোগী মোসা. খাদিজা আক্তার বর্ষা (১৬) ও মোসা. নিশি খাতুন (১৭) প্রাইভেট পড়ে ভ্যানযোগে বাড়ি ফেরার পথে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা বিভিন্ন অশ্লীল কথা ও অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে ইভটিজিং করে। পরে ভুক্তভোগীর চাচা উক্ত আসামিদের ইভটিজিং করতে নিষেধ করলে মারপিট শুরু করে এবং ভ্যানের পিছনে ভুক্তভোগীর বাড়ির সামনে আসলে এক ভুক্তভোগীর বাবা এই আসামিদের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা তাকেও মারপিটের হুমকি দেয়।
ওই ঘটনার জেরে ভুক্তভোগীর এক ভাই গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে চারঘাটের ইউসুফপুর কৃষি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা দেখতে গেলে গ্রেপ্তারকৃত আসামিসহ অন্তত ২০-২৫ জন লোহার রড, জিআই পাইপ, চেইন এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করে। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এই ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে চারঘাট থানায় শ্লীলতাহানি ও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। মামলা দায়েরের ১২ ঘণ্টার মধ্যে বুধবার ভোরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের চারঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
মন্তব্য করুন