বরিশালে মেহেন্দিগঞ্জে কলেজ পড়ুয়া এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাশেদুল হক রুবেল নামে এক ভুয়া সেনাবাহিনীর মেজর।
সোমবার (৮ জুলাই) রাতে মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার খরকি ওয়ার্ডের প্রেমিকার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে আইডি কার্ড, বিএনসিসি কার্ড, মোবাইল ফোনসহ প্রতারণামূলক কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ভুয়া মেজর কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উলিপুর ইউনিয়নের আব্দুল কাদের সরকারের ছেলে। সে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ পৌর এলাকার কলেজ পড়ুয়া এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
স্থানীয়রা জানান, পাঁচ মাস আগে পৌর এলাকার কলেজ পড়ুয়া এক যুবতীর সঙ্গে পাঁচ মাস আগে মুঠোফোনে পরিচয় হয়। পরে নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়েছেন। বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, আপন ফুফাতো ভাই সংসদ সদস্য বলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে বিয়ের প্রলোভনে ওই যুবতীকে বিভিন্ন স্থানে বেড়ানোর কথা বলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়েন তোলেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় শ্বশুর বাড়ি পরিচয়ে বেড়াতে আসে মেজর পরিচয়দানকারী রাশেদুল ইসলাম রুবেল।
এ সময় তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ সোমবার রাতে প্রেমিকার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ভুয়া মেজরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে তার প্রেমিকা বিচার দাবি করে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, নিজেকে সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে সখ্যতা গড়েন ও বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে ভুয়া জানতে পারলে থানায় মামলা করেন। মামলার সূত্র ধরে মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় এবং বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি ইয়াছিনুল হক বলেন, ভুয়া সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে আসছে সে। তিনি সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় দিয়ে যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে, এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে ওই যুবতীকে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। সে একেক জায়গায় একেক নাম ব্যবহার করেছে। বাড়ির ঠিকানাও বিভিন্ন জায়গার নাম বলেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন