টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের (৪৫) বিরুদ্ধে মামলা করেছে ওই শিক্ষার্থীর বাবা। ওই শিক্ষক জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কান্দারপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
ছাত্রীর বাবার অভিযোগ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভনে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এজন্য আমার মেয়ে স্কুলে যেতে চাইত না। গত মে মাসে স্কুল ছুটির পর, আমার মেয়েকে জোর করে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে স্কুল ড্রেস খুলে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় আমার মেয়ে ডাক-চিৎকার করলে এ ঘটনা কাউকে বললে ক্ষতি করা হবে ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায় ওই শিক্ষক। বিষয়টি আমার শ্বাশুড়ির মাধ্যমে জানার পারি। পরে খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে, ওই প্রধান শিক্ষকের বিচার চেয়ে থানায় মামলা দায়ের করি। খোঁজ নেওয়ার সময় প্রধান শিক্ষক আমাকে আপস করার প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, মামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। ২০ বছর ধরে আমি শিক্ষকতা করি। আমার মেয়ে কলেজে পড়ে, অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া পুচকে মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা আমি চিন্তাই করতে পারি না। ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে আমার সঙ্গে কয়েকজনের শত্রুতা সৃষ্টি হয়, এরপর একটার পর একটা চলতেই আছে- এটাও চক্রান্ত।
গোপালপুর থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, এ বিষয়ে গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে, আসামি দোষী হলে গ্রেপ্তার করা হবে।
মন্তব্য করুন