বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বগুড়ায় নিখোঁজ একই পরিবারের ৭ সদস্যকে রাঙামাটি থেকে উদ্ধার

নিখোঁজের পর উদ্ধার হওয়া বগুড়ার সেই পারিবারের সদস্যরা। ছবি : কালবেলা
নিখোঁজের পর উদ্ধার হওয়া বগুড়ার সেই পারিবারের সদস্যরা। ছবি : কালবেলা

বগুড়া থেকে নিখোঁজ এক পরিবারের শিশুসহ সাতজনকে রাঙামাটি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় পিবিআই বগুড়ার পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) জাহিদ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে রাঙামাটি শহরের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তবে উদ্ধার হওয়া সাতজনকে কেউ অপহরণ করেনি। তারা কাজের সন্ধানে স্বেচ্ছায় সেখানে যান এবং পূর্ব পরিচিত একজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে কাজের সন্ধান করছিলেন।

উদ্ধার হওয়া সাতজন হলেন ফাতেমা বেবি (৫০) তার ছেলে বিক্রম আলী (১৩) মেয়ে রুনা খাতুন (১৬), বড় মেয়ে রুমি বেগম (৩০), নাতনি বৃষ্টি খাতুন (১৩) এবং জমজ দুই নাতি হাসান (৬) ও হোসেন (৬)।

উদ্ধার হওয়ার পর ফাতেমা বেবি জানান, তাদের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার খোঁচাবাড়ি এলাকায়। তারা সবাই বগুড়া শহরের নারুলীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ফাতেমা নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করতেন। তার বড় মেয়ের স্বামী জীবন মিয়া তাদের সঙ্গে বসবাস করে বগুড়া শহরে পুরাতন ফ্রিজ কেনাবেচার কাজ করতেন।

ফাতেমা আরও জানান, তার স্বামী আব্দুর রহমান কখনও বগুড়া শহরে আবার কখনও লালমনিরহাটে বসবাস করেন। তার স্বামী এবং জামাই টাকার জন্য সব সময় তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করত এবং মানসিক নির্যাতন করত। এ কারণে তারা নিজের আয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কাউকে না জানিয়ে গত ৩ জুলাই বগুড়া থেকে পালিয়ে তাদের পূর্ব পরিচিত ফাতেমা বেগম নামের এক নারীর নানির বাড়ি রাঙামাটিতে আশ্রয় নেন। সেখানে তারা কাজের সন্ধান করছিলেন।

পিবিআই বগুড়ার পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ হাসান জানান, গত ৩ জুলাই বগুড়া শহরের নারুলী এলাকা থেকে একই পরিবারের সাতজন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় গত ৬ জুলাই বগুড়া সদর থানায় জিডি করেন ফাতেমা বেবির স্বামী আব্দুর রহমান। জিডির সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। পরে পিবিআই বগুড়ার একটি দল রাঙামাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে বগুড়ায় আনেন।

তিনি আরও জানান, ফাতেমার পরিবার দরিদ্র। ফাতেমা এর আগেও অনেকবার রাঙামাটিতে গিয়েছিল। এজন্য সেখানে তার পথঘাট পরিচিত ছিল। এর মধ্যে তিনি সেখানে অনেকের কাজের ব্যবস্থাও করেছিল। রাঙামাটি যাওয়ার পর লালমনিরহাটেও একবার গিয়েছিল ফাতেমা। কিন্তু তাদের স্বামীর নির্যাতনের কারণে তারা কোথায় আছে সেটি গোপন রাখে। আর তাদের মূলত পরিকল্পনাই ছিল রাঙামাটিতে কাজকর্ম করে সেখানেই স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে বসবাস করার। তাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৯ সেপ্টেম্বর : নামাজের সময়সূচি

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রুরা ওত পেতে আছে

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ গ্রেপ্তার

‘গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিকদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে’

জাবিতে গণধোলাইয়ের শিকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু ঘিরে রহস্য

বৈদেশিক ঋণ আবার ছাড়িয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেলেন নৌবাহিনীর ২শ’ সদস্য

সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

জাহাঙ্গীরনগরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি, হাসপাতালে মৃত্যু

১০

ডিপিডিসি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির নতুন কমিটি

১১

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হয়ে আলী রীয়াজের ফেসবুক স্ট্যাটাস

১২

আলজাজিরার অনুসন্ধান / যুক্তরাজ্যে ৩৬০টি বাড়ি কিনেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

১৩

রূপপুর পারমাণবিকের প্রথম ইউনিটে ডামি ফুয়েল লোডিং শুরু

১৪

মহেশখালী থেকে অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে নৌবাহিনী

১৫

নকল সোনার মূর্তি দিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২

১৬

কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় প্রবাসী যুবক নিহত

১৭

ভুল সংশোধনী ও দুঃখ প্রকাশ

১৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে যানজট নিরসনে পুলিশের অভিযান

১৯

মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হেরে গেলেন গৃহবধূ শারমিন

২০
X