অমরেশ দত্ত জয়, চাঁদপুরে প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ১১:২১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ফেলনা গাছের শিকড়বাকড়ে সমীরণের মনবাগান

নিজের মনবাগানে কাজ করছেন শিল্পী সমীরণ দত্ত। ছবি : কালবেলা
নিজের মনবাগানে কাজ করছেন শিল্পী সমীরণ দত্ত। ছবি : কালবেলা

ফেলনা গাছের পরিত্যাক্ত শিকড়বাকড়ে সৃজনশীল শিল্পকর্ম করে সাড়া ফেলেছেন চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার বাসিন্দা শিল্পী সমীরণ দত্ত। সাধারণের চোখে অকেজো এবং পরিত্যক্ত শিকড়বাকড়ই সমীরণের হাতের ছোঁয়ায় হয়ে উঠে অসাধারণ শিল্পকর্ম। আর স্বাধীনচেতা নিভৃতচারী এ শিল্পী সমীরণ তার কাজের জায়গার নাম দিয়েছন মনবাগান।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে মনবাগানে গিয়ে দেখা গেছে, শাহরাস্তি উপজেলার ঘুঘুশাল গ্রামের বাসিন্দা সমীরণের সেই আয়োজন সবার নজর কেড়েছে। শিল্পের পসরা দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থী আসছেন সমীরণের মনবাগানে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের আগ্রহই বেশি। ফেলে দেওয়া বিভিন্ন গাছের শিকড়বাকড় বা গাছের অপ্রয়োজনীয় অংশ যে কীভাবে শিল্পে রূপ নেয়, তা তাদের মনে বিস্ময় জাগায়।

চেনা কাঠের টুকরাটি কী জাদুটোনায় পাখির রূপ নেয়, গাছের পরিত্যক্ত শিকড় কীভাবে দারুণ প্রয়োজনীয় আর ব্যবহার্য হয়ে ওঠে এসব তাদের অপার আনন্দ দেয়। কোনো শিল্পীর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো প্রদর্শনী দেখার সুযোগ এদের বেশির ভাগেরই নেই বা হয়নি। সমীরণ দত্তের এ আয়োজন তাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে। এই প্রদর্শনীর কোনো দিনক্ষণ নেই। যে কেউ যখন-তখন এসে দেখতে পারেন তার শিল্পকর্ম।

আলিম আল রাজী কবির নামের এক দর্শনার্থী বলেন, সৃজনশীল এ মানুষটির তৈরিকৃত আসবাবপত্রসহ খুবই ‍সুন্দর। কীভাবে যেন এসব পরিত্যক্ত গাছ অসাধারণ শিল্পকর্মে রূপ দেন। এসব দেখতেই মনবাগানে এসেছি।

মনবাগানের কর্মচারী অজয় চন্দ্র সূত্রধর বলেন, এ মনবাগানে ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দামের যেমন জিনিসপত্র রয়েছে তেমনি লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্রও রয়েছে। আমি সমীরণ দাদার সঙ্গে ১০-১২ বছর কাজ করছি। এখন এ কাঠের কাজ করে পরিচিতির পাশাপাশি নিজের সংসারও আমি বেশ ভালোই চালাচ্ছি।

এ বিষয়ে শাহরাস্তির শিল্পী সমীরণ দত্ত কালবেলা বলেন, প্রায় ২৫ বছরের এ কাজের বয়সে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি জেলায় প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছি। আমার শৈল্পিককর্মের মধ্যে ৪ লাখ টাকায় টেবিল সেট এবং ৩ লাখ টাকা মূল্যের বেশ কয়েকটি খাট বিক্রি করেছি।

তিনি আরও বলেন, চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ আমার এ মনবাগানকে এগিয়ে নিতে অনুদানসহ নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। বর্তমানে আমার ইচ্ছে বিশিষ্ট নাগরিকদের কাছে সমাজ কীভাবে ঋণী সেটা প্রকাশ্যে এনে বয়ঃবৃদ্ধদের জন্য সম্মান তৈরিতে মনবাগানে কাজ করা।

শাহরাস্তির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত কালবেলা বলেন, সমীরণ দত্তের সৃজনশীল শৈল্পিক কাজ ছড়িয়ে দিতে অতীতের মতো সামনেও তার পাশে থেকে কাজ করবে উপজেলা প্রশাসন। তার জন্য আমরা সবসময় পাশে রয়েছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১০

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১১

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১২

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৩

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

১৪

আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাবেশ

১৫

কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

১৬

পাকিস্তানের জলসীমায় বিপুল তেল-গ্যাস মজুতের সন্ধান

১৭

বিসিবির দুর্নীতির তদন্ত দাবি সাবেকদের

১৮

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

১৯

জেল খেটেছি তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি : সাবেক এমপি হাবিব

২০
X