মধ্যরাতে সড়কে সশস্ত্র ডাকাত দলের কবলে পড়ে টাকা, মোবাইল ফোন ও মালামালসহ সর্বস্ব খোয়লেন চার যুবক। এ ঘটনায় পুলিশের শরণাপন্ন হয়ে ডাকাতির অভিযোগ করা হলে মামলা না নিয়ে মোবাইল ফোন হারানোর জিডি নিয়েছে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ। শনিবার মধ্যরাতে রামচন্দ্রপুর-বিষ্ণপুর সড়কের ব্রাহ্মণ চাপিতলা এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতির শিকার ব্যক্তিরা হলেন মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামের আবুল হাসান মিয়ার ছেলে মাইনউদ্দিন, মৃত সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে সুমন, মৃত ওহাব আলীর ছেলে অলি মিয়া ও তাজু মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক আরিফ।
ভিকটিম মাইন উদ্দিন জানান, শনিবার ঢাকা থেকে ফিরেছি, ফেরার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমরা চারজন সল্পা থেকে সিএনজিযোগে দিঘিরপাড় ফেরার পথে রামচন্দ্রপুর-বিষ্ণপুর সড়কের ব্রাহ্মণ চাপিতলা অতিক্রম করার সময় অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় কয়েকজন লোক গাড়িতে টর্চ লাইট দিয়ে থামতে ইশারা করে। আমরা পুলিশ মনে করে গাড়ির কিছুটা গতিরোধ করি। তারপর দেখি সড়কে গাছ ফেলে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সময় মুখবাধা পিস্তল, রামদা ও ছুরি হাতে ৭-৮ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল আমাদের জিম্মি করে সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, মোবাইলসহ সব মালামাল নিয়ে যায়। কোনো আওয়াজ করলে আমাদের গুলি করবে বলে প্রাণনাশের ভয় দেখায়। ডাকাত সদস্যরা চলে যাওয়ার পর আমরা সড়কের গাছটা সরিয়ে কিছুটা এগিয়ে এসে মোবাইল ফোন সংগ্রহ করে ৯৯৯ এ কল দেই। কিছুক্ষণ পর বাঙ্গরা বাজার থানার এএসআই নাজির হোসাইনসহ পুলিশ এসে সড়কে গাছ দেখতে পেলেও ডাকাত সদস্যদের পায়নি। পরদিন থানায় এসে মোবাইল হারানোর বিষয়ে জিডি করতে বলে পুলিশ চলে যায়। তাদের কথামতো রোববার সন্ধ্যায় বাঙ্গরা বাজার থানায় আমাদের মোবাইল ফোন হারানোসংক্রান্ত জিডি করি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গত ছয় মাসে মুরাদনগর ও বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় প্রতিনিয়ত চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাঙ্গরা বাজার থানার এএসআই নাজির হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়কে গাছের গুঁড়ি দেখতে পেয়েছি। ডাকাতির ঘটনায় জিডির বিষয়ে তিনি বলেন আমি অভিযোগ করতে বলেছি জিডি করতে বলিনি।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি সফিউল আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বাইরে আছি, থানায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব।
মন্তব্য করুন