কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গায়ে ক্রিকেট বল লাগাকে কেন্দ্র করে দুদল গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে হৃদয় মিয়া, শাহিন, সোহান, ইব্রাহিম, অন্তর, বাদশাসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
রোববার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে উপজেলার কালিকাপ্রসাদের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ক্রিকেট খেলা চলাকালে বল লেগে ১টি মেয়ে ব্যথা পায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের আরজানের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ফুল মিয়ার বাড়ির লোকজনের সংঘর্ষ হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান লিটন মিয়া দুপক্ষের মাঝে সালিশি বৈঠক করে সমাধানের আশ্বস্ত করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এ ঘটনার রেশ ধরেই ফের মিয়া বাড়ির মাঠে ফুল মিয়ার বাড়ির নিহিদকে আরজানের বাড়ির লোকজন মারধর করে। এরই জের ধরে রোববার সকালে রেলস্টেশন এলাকায় দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আরজানের বাড়ির পক্ষ নিয়ে খান বাড়ির লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সংঘাত বড় আকার ধারণ করে।
এ বিষয়ে কালিকাপ্রসাদ ইউপির চেয়ারম্যান মো. লিটন মিয়া বলেন, ক্রিকেট খেলা চলাকালে বল গায়ে লাগাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে এর সমাধান করা হবে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মন্তব্য করুন