সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে ধীরগতিতে কমছে যমুনা নদীর পানি। এ ছাড়া জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে জেলার ৫ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল। পানি ওঠায় বন্ধ রয়েছে ৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সর্বশেষ ১২ ঘণ্টায় এ পয়েন্টে যমুনার পানি স্থিতিশীল রয়েছে।
অপরদিকে কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ দুটি পয়েন্টে তৃতীয় দফায় গত ১ জুলাই থেকে পানি বাড়তে শুরু করে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। চলতি মাসে আর যমুনার পানি এ পয়েন্টে বাড়ার সম্ভাবনা নেই। বড় ধরনের বন্যার শঙ্কাও নেই।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, জেলার ৫টি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে ২০ হাজার ৩২৯টি পরিবারের ৯০ হাজার ৯৩৬ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যাদুর্গত এসব মানুষের জন্য ইতোমধ্যে ১০০ টন চাল, ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মজুদ রয়েছে আরও ১ হাজার ২০০ টন চাল, ২০ লাখ টাকা ও ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার।
মন্তব্য করুন