যশোরের ঝিকরগাছায় ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য সরকারি বরাদ্দের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আতাউর রহমান মিন্টু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
তিন হতদরিদ্রের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
আতাউর রহমান মিন্টু যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
রোববার (৭ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে লিখিত অভিযোগ করেন মইফুল গাজী, আছিয়া খাতুন ও আবু সাঈদ।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী তিনজন অত্যন্ত অসহায় ও হতদরিদ্র। সরকারি ঘর দেওয়া হচ্ছে এমন খবর জানতে পেরে তারা চেয়ারম্যানের কাছে যান। পরে ঘর বরাদ্দের কথা বলে তিনি প্রতিজনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন।
সে সময় তিনি বলেন, ঘরের জায়গা নিচু হওয়ায় মাটি ভরাট করতে টাকা লাগবে। ভুক্তভোগীরা লোন নিয়ে সেই টাকা দেন। পরে ঘর না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে তিনি দুজনকে ৫ হাজার টাকা করে ফেরত দেন। বর্তমানে তারা লোনের কিস্তি নিজেরাই শোধ করছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ বলেন, আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। মাটি ভরাটের জন্য ছয়টি ঘর দেওয়ার কথা বলে চেয়ারম্যান টাকা নিয়েছে মহেশপাড়া গ্রামের সিরাজের মাধ্যমে। পরে ঘর দিতে না পেরে কিছু টাকা ফেরত দিয়েছে।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু বলেন, সরকারি ঘর তৈরি করার আগে আমি ওই জায়গায় মাটি ভরাট করেছিলাম। ঘর দেওয়ার কথা বলে গ্রামের কিছু লোক টাকা পয়সা নিয়েছে। আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নারায়ন চন্দ্র পাল কালবেলাকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন