বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বগুড়ায় মা-মেয়ে-নাতিসহ একই পরিবারের ৭ সদস্য নিখোঁজ

রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়াদের কয়েকজন। ছবি : সংগৃহীত
রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়াদের কয়েকজন। ছবি : সংগৃহীত

বগুড়ায় একইসঙ্গে মা-মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ সাতজন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। গত চার দিনেও তাদের কোনো সন্ধান মেলেনি।

এ ঘটনায় শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই পরিবারের প্রধান জীবন মিয়া।

এর আগে গত ৩ জুলাই দুপুরে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে একসঙ্গে সাতজন নিখোঁজ হন।

নিখোঁজ নারী ও শিশুরা হলেন, জীবন মিয়ার স্ত্রী রুমি বেগম (৩০), তার তিন সন্তান সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে বৃষ্টি খাতুন (১৩), যমজ দুই ছেলে হাসান (৬) ও হোসেন (৬), শাশুড়ি ফাতেমা বেবি (৫০), শ্যালক বিক্রম আলী (১৩) ও শ্যালিকা রুনা খাতুন (১৭)।

জীবন মিয়া জানান, তিনি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের বাসিন্দা। তার শ্বশুরবাড়ি লালমনিরহাট জেলা সদরে।

গত ১০ বছর ধরে তিনি বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। একই বাসায় স্ত্রী সন্তান ছাড়াও শাশুড়ি, শ্যালক শ্যালিকা বসবাস করে। তার শাশুড়ি নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করেন। আর তিনি পুরাতন ফ্রিজ কেনাবেচার দোকান পরিচালনা করেন।

জীবন মিয়া বলেন, গত ৩ জুলাই দুপুরে বাড়িতে ভাত খেতে এসে দেখতে পারেন বাসায় কেউ নেই। স্ত্রীর ফোন বন্ধ। শাশুড়ির ফোন বাসাতে রেখে গেছেন। পরিধেয় কাপড়চোপড় ছাড়া অন্য কিছু তারা নিয়ে যাননি। পরে লালমনিরহাটে তার শ্বশুরবাড়িতে খোঁজ করে সেখানেও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, লালমনিরহাটে যোগাযোগ করলে তার নানি শাশুড়ির কাছে জানতে পারেন এক মাস আগে এক ব্যক্তি তার শাশুড়ি ও স্ত্রীকে ভালো চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। জীবন মিয়ার ধারণা অপরিচিত ওই ব্যক্তির প্রলোভনে পড়ে চাকরির আশায় তারা মানব পাচারকারীর কবলে পড়তে পারে।

নারুলী পুলিশ ফাড়ির ইনর্চাজ পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম জানান, ফাতেমা বিবি লালমনিরহাট যাওয়ার কথা বলে গত ২ জুলাই ছুটি নেন। ৬ জুলাই তার ফিরে আসার কথা। ফাঁড়িতে রান্নার কাজে না আসায় তাকে ফোন করা হলে জামাই ফোন রিসিভ করে নিখোঁজের বিষয়টি জানান। এরপর তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে বিস্তারিত শুনে থানায় পাঠিয়ে জিডি করার ব্যবস্থা করা হয়।

পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম আরও বলেন, একসঙ্গে সাতজন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, জীবন মিয়ার স্ত্রী ও শাশুড়ি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। এ ছাড়াও স্থানীয়ভাবেও কিছু দেনা থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তারপরেও তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে তাদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘সাংবাদিকরা সমাজে মেডিয়েটরের ভূমিকা পালন করে থাকেন’

দুর্গাপূজায় সনাতনীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি : মাহবুবের শামীম

নাসা স্পেস অ্যাপস প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন জবি

ষড়যন্ত্র বানচালে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : প্রিন্স

কার হাতে কত সোনার মজুত?

পিএসসির চাকরির পরীক্ষা নিয়ে সমন্বয়ক সারজিসের স্ট্যাটাস

যে কোনো সময় ইরানে হামলা চালাবে ইসরায়েল

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন টুকু

কলেজ অধ্যক্ষকে বাঁচাতে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

১০

প্রতিটি শহীদ পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া উচিত : মেজর হাফিজ

১১

সংসদের মেয়াদ ৪ বছর চায় গণঅধিকার পরিষদ

১২

আন্দোলনে হামলাকারী হেলমেট বাহিনীর অন্যতম সদস্য মনিরুল গ্রেপ্তার

১৩

বিএনপি সম্প্রীতির রাজনীতি করে : আমিনুল হক

১৪

আ.লীগ শাসনামলেই হিন্দু সম্প্রদায় বেশি অত্যাচারিত হয়েছে : অ্যাডভোকেট সালাম

১৫

চীনের ক্যান্টন ফেয়ারে ৪র্থ বার অংশ নিচ্ছে ওয়ালটন

১৬

মেয়েদের এতিমখানায় গিয়ে কেন ‘রেগে গেলেন’ জাকির নায়েক?

১৭

জানা গেল কবে থেকে কাজ করবে সংস্কার কমিশন

১৮

পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক সংঘর্ষ, সেনা মোতায়েন

১৯

কলেজ অধ্যক্ষকে ফেরাতে ৪০ লাখ মুক্তিপণ দাবি

২০
X