গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লার বরুড়ায় বেশকিছু স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। বিশেষ করে উপজেলার দক্ষিণ খোশবাস ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে পানি নিষ্কাশনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
লাগাতার বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ওই গ্রামের খালবিল, পুকুর ও নালে পানি বেড়ে যায়। ফলে টানা বৃষ্টির কারণে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতেই আটকা পড়েছে প্রায় দেড়শ পরিবার। স্থানীয় প্রতিনিধি সমস্যা সমাধান করতে না পারায় গ্রামবাসী বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নু এমং মারমা মং দক্ষিণ খোশবাস ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে গিয়ে স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পানি যাতায়াতের পথ খুলে দিয়ে দেড়শ পরিবারকে পানিবন্দি থেকে মুক্ত করেন।
স্থানীয়রা জানান, মহেশপুর গ্রামের ১৫০ পরিবার পানিবন্দি। পানিবন্দি অবস্থায় থাকায় ফসলি জমি, সবজি ও বিভিন্ন ফলজ গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের গোয়ালঘর, রান্নাঘর ও বসতবাড়ি পানি আটকে যাওয়াতে দেড়শত পরিবারের বেশি মানুষ গৃহবন্দি। আজ ইউএনও সহযোগিতায় জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পায় আমাদের গ্রামের মানুষ।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার আলী বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে এবং স্থানীয় কয়েকজন সীমানা দিয়ে পানি যাওয়ার বাধা সৃষ্টির কারণে দেড়শত পরিবার পানিবন্দি ছিল। আজ সবাই মুক্তি পেল।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নু এমং মারমা মং বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমি সে স্থানে যাই। দ্রুততার সঙ্গে মানুষের এ দুর্ভোগ নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
মন্তব্য করুন