নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই তিস্তার পানি

স্থানীয় উদ্যোগে বস্তা ফেলে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। ছবি : কালবেলা
স্থানীয় উদ্যোগে বস্তা ফেলে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। ছবি : কালবেলা

উজানের ঢল আর ভারি বৃষ্টিপাতে নীলফামারীতে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা নদীর পানি।

শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ওই পয়েন্টে নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তাপাড়ের নিমাঞ্চলে নদীর পানি প্রবেশ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে রেখেছে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যরাজের নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। বিকেল ৩টায় কিছুটা কমে ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। বর্তমানে পানি কমা অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার বিকাল ৩টায় ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। তিস্তা ব্যারাজারে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার।

নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তাপাড়ের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করলেও মানুষের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেনি। ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামটি তিস্তার প্রবেশ মুখ।

ওই গ্রামের বাসিন্দা আহেনুল ইসলাম বলেন, রাতে হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এতে করে গ্রামের অনেকের বাড়ির উঠানে পানি প্রবেশ করে। তবে দুপুরের পর থেকে পানি নেমে গেছে। তবে আবারও পানি বাড়ার শঙ্কায় আছি।

ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সকালে আমার ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর ও পূর্বছাতনাই মৌজায় পানি প্রবেশ করে। এতে করে প্রায় এক হাজার ৩০০টি পরিবার পানিবন্দি হয়। দুপুরের পর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে ফের পানি বাড়ার আশঙ্কায় রয়েছে এলাকার মানুষ।

একই উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পানির তোরে ইউনিয়নের পূর্বখড়িবাড়ি গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বালুর বাঁধটির প্রায় ১০০ মিটার ভেঙে গেছে। সেটি স্থানীয় উদ্যোগে বস্তা ফেলে মেরামতের কাজ চলছে। তবে এখনো কোনো বাড়িঘরে পানি উঠেনি।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদ্দৌলা কালবেলাকে বলেন, তিস্তা নদীর পানি কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার বেলা ১২টায় বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকেল ৩টায় ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে পানি কমা অব্যাহত রয়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারাজের সব কটি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরায়েলকে প্রতিশোধের রাস্তা দেখিয়ে দিলেন ট্রাম্প

মসজিদ টার্গেট করে চালানো হচ্ছে বিমান হামলা

আর এক জয় দূরে মেসির মায়ামি!

নির্যাতনের তথ্য চেয়ে আ.লীগের বিশেষ বার্তা

পূজায় বুড়িমারীতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ৬ দিন

প্রতি সপ্তাহে সহায়তা দেবে জুলাই ফাউন্ডেশন : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

আন্দোলনে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি, সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে যমুনা গ্রুপ

জনবল নেবে স্যামসাং বয়সসীমা  ২১ থেকে ২৮ বছর 

বায়ুদূষণে শীর্ষে হ্যানয়, ঢাকার খবর কী

১০

সুস্থ থাকতে ভাত নাকি রুটি, কী বলছেন চিকিৎসক

১১

লিটনের শরীরে ৫ শতাধিক বুলেট

১২

সপ্তম রাউন্ডে জমে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগের লড়াই

১৩

পাচারের টাকায় আমিরাতে মিনি সিটি নিয়ে আসিফের স্ট্যাটাস

১৪

শেরপুরে ভয়াবহ বন্যায় ৭ জনের মৃত্যু

১৫

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস গবেষকের

১৬

সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ জ্যোতির

১৭

১৩ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১৮

ভারতীয় দলে আচমকা পরিবর্তন

১৯

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

২০
X