ময়মনসিংহের ত্রিশালে ২০ টন চালবাহী ট্রাক ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছিনতাই হওয়া ট্রাকটি উদ্ধার এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হলেও উদ্ধার হয়নি চাল।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলো মো. চুন্নু মিয়া, মো. আজিজুল হক, মো. কাউসার উদ্দিন, ওমর ফারুক, মো. ফরিদুল ইসলাম ও মো. রবিউল আওয়াল। তারা সবাই নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত ৩১ মে রাতে ২০ টন চাল নিয়ে মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকায় রওনা দেন চালক মো. নাসির ও সহযোগী মো. সজিব। ভোর ৪টার দিকে ত্রিশাল থানাধীন বাগান এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকটি ব্যারিকেড দেয় দুটি প্রাইভেট কার। এ সময় ৩/৪ জন ব্যক্তি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চালক ও সহযোগীর হাত-পা বেঁধে ফেলেন। তাদের দুজনকে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে ময়মনসিংহের দিকে এবং চালবাহী ট্রাক নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা দেয় আসামিরা। সকালের দিকে ট্রাকচালককে গাজীপুরের শ্রীপুর এবং সহযোগীকে শেরপুরের নকলা থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় মামলা হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের পর নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পাওয়া যায়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠোনোর নির্দেশ দেন।
চাল উদ্ধার করতে না পারার কারণ হিসেবে ত্রিশাল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন কালবেলাকে বলেন, চালবোঝাই ট্রাকটি ছিনতাইয়ের পর আসামিরা গফরগাঁও ও ঢাকায় তা বিক্রি করে দেয়। আমরা ছয়জনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও চাল উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা জানিয়েছে, দুজন পলাতক আছে। তারা চালগুলো বিক্রি করেছে। এ দুজনকে গ্রেপ্তার করা গেলে কোথায়, কার কাছে বিক্রি করেছে, তা জানা সম্ভব হবে।
ওসি আরও বলেন, লুট হওয়া ট্রাকটি ঘটনার তিনদিন পর পরিত্যক্ত অবস্থায় গাজীপুরে পাওয়া যায়। এতে কোনো চাল ছিল না। এরপর ধারাবাহিক অভিযানে জড়িত ছয়জন ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন