রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আরএমপির চন্দ্রিমা থানার ওসির ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম। ছবি : সংগৃহীত
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম। ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলমের ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই ভিডিও ভাইরাল হয়।

এর আগেও মাহাবুবের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে এক নারী পুলিশ পরিদর্শকের স্বামীকে সাজানো মামলায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ রয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, ওসি মাহাবুব তার দপ্তরে নিজের চেয়ারে বসে রয়েছেন। সামনে থাকা এক ব্যক্তি তার কাছে একটি খাম চান। এ সময় ওসি তার ড্রয়ার থেকে খাম বের করে দেন। পরে ওই ব্যক্তি সেই খামে টাকা ভরে খামটি এগিয়ে দিলে ওসি সেই খাম তার ড্রয়ারে পুরে নেন।

ওই ব্যক্তি ওসিকে উদ্দেশ করে বলেন, মাহাবুব (ওসি) ভাই আপনি আমাকে চেনেন, জানেন, বোঝেন। আমি বিপদে পড়েছি বলে আপনার কাছে এসেছি। আমি সব সময় বিপদেই পড়ি। দেন একটা খাম দেন। আমি জানি যে আমি আসলে কাজ হবেই। আর এক দিন এসে বলব ও আমাকে কী পর্যায়ে পেরেশানির মধ্যে রেখেছে। যদি অফিসিয়াল সলিউশন করতে পারতাম আমি! সে জিএম সাহেবের কাছে ৪০ জন লোক নিয়ে গেছে ‘রিমুভ ফ্রম সার্ভিস’ করার জন্য আমার বোনের। আমি আপনাকে কী বোঝাব।

এ সময় ওসি মাহাবুব কথাগুলোর ফাঁকে খামটি ড্রয়ারে ঢুকিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এর আগেরটাতেও আমি আপনাকে হেল্প করেছি।’

এ বিষয়ে ওসি মাহাবুবের মোবাইল ফোনে জানতে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমেই জানলাম। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, সে একটি খাম নিচ্ছে। আসলে ওই খামের মধ্যে কি আছে তা তো বলতে পারছি না। এ বিষয়ে কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ হলে সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে তারা নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।

এদিকে, ২০২১ সালে ওসি মাহাবুবের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে এক নারী পুলিশ পরিদর্শকের স্বামীকে সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে ওই বছরের ২৪ মার্চ রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা। তার সেই অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ খন্দকার গোলাম ফারুক। ওই ঘটনার সময় মাহাবুব আলম দামকুড়া থানার ওসি ছিলেন। আর এই ঘটনায় মাহাবুব আলমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বোয়ালিয়া থানার তৎকালীন এক ওসি।

অভিযুক্ত ওসি মাহবুব আলম ওই নারীর সাবেক স্বামী। ২০১৩ সালে তাদের বিয়ে হয়। শারীরিক ও অমানুষিক নির্যাতনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ললিতাহার এলাকার আব্দুল ওদুদের ছেলে মাহবুব হুসাইনকে বিয়ে করেন ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৫ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

আজও কি দিনভর সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে?

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

বিদ্যালয়ে কোনোরকম উচ্ছৃঙ্খলতা ছিল না

নারায়ণগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কাপড় জব্দ

ইদানীং শিক্ষকদের এক ধরনের হেয় করার প্রবণতা তৈরি হয়েছে

মানুষ হয়ে ওঠার শিক্ষা খুব জরুরি

কক্সবাজার সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতা নিহত

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে বন্ধন সেটি ছিন্ন হয়ে গেছে

হত্যা মামলায় রসিকের সাবেক কাউন্সিলর মিলন গ্রেপ্তার

১০

শিক্ষকদের শিক্ষাবাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

১১

হুইলচেয়ারে বসেই আলো ছড়াচ্ছেন ফয়সাল

১২

হেঁটে এক টাকায় জ্ঞান বিলিয়ে যাচ্ছেন লুৎফর রহমান

১৩

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন

১৪

ময়মনসিংহে মায়ের হাতে মেয়ে খুন

১৫

কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না : সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

১৬

টিসিবির পণ্যসহ আটক বিএনপির সেই সভাপতিকে অব্যাহতি

১৭

বাংলা ভাষাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র মর্যাদা দিল ভারত

১৮

রাজশাহী মহানগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

১৯

শেরপুরে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে বিজিবি

২০
X