স্বপন চন্দ্র দাস, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপরে যমুনার পানি

সিরাজগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকায় ছোট্ট শিশুকে নিয়ে নৌকা চালাচ্ছেন মা। ছবি : কালবেলা
সিরাজগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকায় ছোট্ট শিশুকে নিয়ে নৌকা চালাচ্ছেন মা। ছবি : কালবেলা

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহর হার্ড পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে যমুনার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ১২৭৬ পরিবার। প্লাবিত হয়েছে ৪০০ হেক্টরেরও বেশি ফসলি জমি। অপরদিকে নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে তীব্র ভাঙন চলছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩৭ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে, কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ২৪ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসমীরা ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যমুনায় পানি বেড়ে জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের শত শত পরিবার। তলিয়ে গেছে আবাদি জমি, রাস্তাঘাট ও বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যাকবলিত মানুষগুলো বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এদিকে শাহজাদপুরের হাটপাচিল ও কাজিপুরের খাসরাজবাড়িতে চলছে নদীভাঙন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ দুটি এলাকায় একশোরও বেশি বাড়িঘর যমুনা বিলীন হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরেই যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বেড়েছে। ইতোমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা ধীগতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে। মাঝারি আকারের বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো জিওটিউব ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, বন্যার পানি ওঠে জেলার ৪০৮ হেক্টর জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচ ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এখনো ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, সর্বশেষ জেলার ৫টি উপজেলার ১২৭৬টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। ৫০০ টন চাল আর ১০ লাখ টাকা মজুত আছে। সময়মতো সেগুলো বিতরণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রত্যয় স্কিম ও অভিন্ন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে বাকৃবিতে মানববন্ধন

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন রিজভী

কাজে আসছে না কোটি টাকা ব্যয়ের ব্রিজ

আজ ফার্মগেটও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির আওতায়

নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছে পৌরসভার সড়ক নির্মাণকাজ

গাজায় ৯ মাসে ৬৮০ সেনা হারিয়েছে ইসরায়েল

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ

কাস্টমস কমিশনার এনামুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সৌদিতে মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানের অভিযোগে ৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

মেঘনা নদীতে ড্রেজার ডুবে নিখোঁজ ৫

১০

বাসচাপায় নানা-নাতনি নিহত

১১

কলেজ আছে, শিক্ষকও আছে, শুধু নেই পরীক্ষার্থী!

১২

দশম মাসে গড়াল গাজা যুদ্ধ

১৩

কোটাবিরোধী আন্দোলনের যে অনুভূতি বাবাকে ফোনে জানালেন ঢাবি ছাত্রী

১৪

‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’, ইউটিউব থেকে সরাতে নির্দেশ

১৫

ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন 

১৬

ভিনি-বেলিংহামের সঙ্গে ব্যালন ডি'অর বিতর্কে মেসিও

১৭

টেকনাফ সীমান্তে মর্টারশেল বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক নিহত

১৮

এক হ্যাকারই ফাঁস করলেন ১০ বিলিয়ন পাসওয়ার্ড!

১৯

চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

২০
X