কয়েক দিন ধরে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার অনেক স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরই মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা।
এদিকে শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল থেকেই অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। আর বৃষ্টির মাঝেই বৃষ্টিবিলাস করছেন পর্যটকরা। বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই মেতে উঠেছেন তারা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) থেকেই সৈকতে এ সব পর্যটকের আগমন ঘটে। আগতরা বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সৈকতের বালিয়াড়িতে ছোট বড় আছড়ে পড়া ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতেছেন। ছোট -বড় সবাই আনন্দে মেতে উঠছেন। অবিরাম বৃষ্টি আর জোয়ারের ঢেউয়ে এ যেন অন্যরকম সৈকত।
অনেকে সৈকতের বেঞ্চিতে বসে নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। এ ছাড়া তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, ঝাউবাগান ও গঙ্গামতি সৈকতসহ সব পর্যটন স্পটে রয়েছে এখন পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি। পর্যটকদের ভিড়ে বুকিং বেড়েছে আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোতে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। আগতদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক মো. রফিক বলেন, আবহাওয়া খারাপ হলেও উপভোগে ঘাটতি হয়নি, বরং বড় বড় ঢেউ আমাকে মুগ্ধ করেছে।
খুলনার পর্যটক আবরার বলেন, আজকেই প্রথম কুয়াকাটায় এলাম৷ এত উপভোগ করলাম, যা বহুদিন মনে থাকবে। তবে বিচটা ভয়ানক। জিও ব্যাগে ব্যথা পেয়েছি। এগুলো অপসারণ করা দরকার।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লেম্বুরবন থেকে রামনাবাদ চ্যানেল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। পর্যটকদের সেবায় জল ও স্থলপথে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মন্তব্য করুন