জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় রাসেল ভাইপারের কামড় খেয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মো. মোহন মন্ডল নামে এক কলেজছাত্র।
বুধবার (৩ জুলাই) গভীর রাতে উপজেলার মাজিয়াস্থল গ্রামে নিজ বাড়িতে শোয়া অবস্থায় কামড় দেয় সাপ।
মো. মোহন মন্ডল মাজিয়াস্থল গ্রামের আলম মন্ডলের ছেলে ও বগুড়া শাহ সুলতান কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র।
কলেজছাত্র মোহন মন্ডল কালবেলা বলেন, রাতে ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১২টার পর পিঠের নিচে কী যেন কামড় দেয়। আলো জ্বালিয়ে কিছু দেখতে না পেয়ে আলো বন্ধ করে আবারো শুয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ পর হাত পেঁচিয়ে ধরে কী যেন কামড় দেয়।
তিনি বলেন, আবারো আলো জ্বালিয়ে দেখি হাতে গায়ে ডোরা কাটা একটি সাপের বাচ্চা পেঁচিয়ে ধরে আছে। এরপর সাপটিকে মেরে চিৎকার দেই। রাতভর কবিরাজি চিকিৎসা করায় পরিবার। সকালে শরীর খারাপ হওয়ায় মৃত সাপ নিয়ে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আসি। এখন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সিরাজুম মনিরা তামান্না বলেন, সকাল ১১টার দিকে ক্ষেতলাল উপজেলার মোহন মন্ডল সাপের কামড়ানো একটি রোগী মৃত একটি সাপের ছোট বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসে। পরে জানতে পারি সে প্রথমে কবিরাজি চিকিৎসা নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসে। তার চিকিৎসা চলছে।
তিনি বলেন, মৃত সাপটি দেখতে রাসেল ভাইপারের মতো হলেও তা রাসেল ভাইপার কি না নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যে সাপই কামড় দিক, কেউ যেন ওঝার কাছে না যায়। দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. রুহুল আমিন কালবেলাকে বলেন, সাপ নিয়ে আতঙ্ক নয়। সাপে কাটলে দ্রুত রোগীকে হাসপতালে ভর্তি করাতে হবে। জেলার সব হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর জন্য ভ্যাকসিন রয়েছে।
মন্তব্য করুন