ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৪০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

লোকালয় ও বিদ্যালয়ে ঢুকছে পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

পানিতে নিমজ্জিত ধনুট উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা
পানিতে নিমজ্জিত ধনুট উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা

বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডাবাড়ি ইউনিয়নে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বেড়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর তীর উপচে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশ দিয়ে লোকালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে। এতে করে যমুনাপাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পানিতে নিমজ্জিত বিদ্যালয়গুলো হলো, উপজেলার কৈয়াগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী লেখাপাড়া করে থাকে। পানি ঢুকে পড়ায় বিদ্যালয়ে পাঠদান করানো যাচ্ছে না। এ কারণে বিদ্যালয়ের আশপাশে উঁচু বাড়ি কিংবা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। গত ১২ ঘন্টায় ৩৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার শহড়াবাড়ি ঘাট এলাকায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ দশমিক ২৫ মিটার। বর্তমানে যমুনা নদীতে ১৬ দশমিক ৩ মিটার সমতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

ভাণ্ডার বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল বারী বলেন, বুধবার রাতে হঠাৎ করে লোকালয়ে যমুনা নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। এতে এ বন্যায় গবাদিপশু পালনকারী, পাট ও মরিচ চাষিদের বেশি ক্ষতি হবে।

উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু বলেন, বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বদিকে বাড়িঘরের চারপাশে পানি থইথই করছে। চলাচলের রাস্তা ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাড়িঘরে পানি ডুকে গেছে।এ ছাড়া ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা আছে।

তিনি বলেন, এ বন্যায় অনেক কৃষকের পাট, মরিচের বীজতলা পানির নিচে ডুবে গেছে। যমুনা পাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।

ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, উপজেলার তিনটি বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করেছে। এ কারণে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান করানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে শিক্ষকদের বিকল্প পদ্ধতিতে পাঠদান করাতে বলা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কোটা-পেনশন স্কিম বাতিলের আন্দোলন নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাল জামায়াত

বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল, অবরুদ্ধ রাজধানী

সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিলেন আ.লীগ নেত্রী রানী

সাপের কামড়ে শিক্ষার্থীসহ দুজনের মৃত্যু

মিডিয়া কি তবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা জোগাচ্ছে!

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় শেখ হাসিনার ভূমিকা বিশ্বে অন্যতম : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে ৫ জনের মৃত্যু

বাবার স্বাধীন করা দেশ ব্যর্থ হতে পারে না : প্রধানমন্ত্রী 

এইচএসসি পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা, তিন শিক্ষককে অব্যাহতি

কোচের সঙ্গে সংঘর্ষে কেইনকে নিয়ে সংশয়

১০

দেশের ১২ জেলায় নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা

১১

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি কমলেও বাড়ছে বন্যার্তদের দুর্ভোগ

১২

বিশ্বসেরা গোলকিপারকে চায় না ম্যানইউ

১৩

ঢাবির হলে ছাদের পলেস্তারা খসে আহত শিক্ষার্থী 

১৪

রাফীর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে নেই দেবের

১৫

শাহবাগ অবরোধে কোটাবিরোধীরা, মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ 

১৬

খসে পড়ল ছাদের পলেস্তারা, আহত ৫ শিক্ষার্থী

১৭

তিস্তা প্রকল্পে ভারত-চীন একসঙ্গে কাজ করতে রাজি : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

১৮

শ্রীলঙ্কার মতো ভুল যাতে না হয়, সতর্ক থাকতে হবে : কাদের

১৯

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়েও অবরোধ

২০
X