ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:১০ এএম
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বিয়ে হওয়ায় ছাত্রীকে স্কুলে আসতে নিষেধ করলেন প্রধান শিক্ষক

কায়েমকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আহসান উল্লাহ। ছবি : কালবেলা
কায়েমকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আহসান উল্লাহ। ছবি : কালবেলা

যশোরের ঝিকরগাছায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের অপরাধে স্কুলে আসতে নিষেধ করেছেন প্রধান শিক্ষক। বিয়ের কারণে স্কুলে আসতে নিষেধ করায় রোববার (৩০ জুন) থেকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন ওই স্কুলছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের কায়েমকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

জানা গেছে, কায়েমকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী ঈদের পর পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন। বিবাহিত হওয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আহসান উল্লাহ তাকে স্কুলে আসতে নিষেধ করেছেন। এমনকি ওই ছাত্রী স্কুলে পুনরায় যাওয়ার ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে প্রধান শিক্ষক অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। বর্তমানে স্কুলে আসছে না ওই শিক্ষার্থী।

ওই ছাত্রীর চাচা সুরত আলী বলেন, আমার ভাতিজি ছাত্রী হিসেবেও অনেক ভালো। সে নিজের ইচ্ছায় সম্পর্ক করে বিয়ে করেছে। বিবাহিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষক তাকে আর স্কুলে রাখতে চাচ্ছে না। আমি অভিভাবক হিসেবে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও সে অপরাগতা প্রকাশ করেছে। পরে অন্য মাধ্যম দিয়ে শিক্ষককে বলেছি মেয়েকে টিসি দিয়ে দিতে।

প্রধান শিক্ষক মো. আহসান উল্লাহ বলেন, ওই মেয়েটি ভালো ছাত্রী ছিল। দশম শ্রেণিতে ওঠার পর থেকেই বাইরের ছেলেদের সঙ্গে চলাফেরা শুরু করে। পরে বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছিল। ঈদের পরে মেয়েটি নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করে ফেলে। তাকে স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে, তবে পরীক্ষার সময়ে পরীক্ষা দিবে।

তিনি বলেন, মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে করেছে। সে স্কুলে আসলে বিবাহিত জীবনের নানা গল্পের কারণে অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়বে। স্কুলের অন্য ছাত্রীরা অভিযোগ দিয়েছে, শিক্ষকরাও বলছে ওই মেয়ে স্কুলে আসলে অন্য শিক্ষার্থীরা স্কুল ছেড়ে দিবে।

ঝিকরগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান মো. জাহাঙ্গীর হুসাইন মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষক বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আসলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন কোনো আইন নেই যে, একটা মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে তাকে স্কুলে রাখা যাবে না। তবে এখানে সাইকোলজিক্যাল একটা বিষয় থাকে।

তিনি বলেন, অনেকগুলো অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের মধ্যে একটা বিবাহিত মেয়ে থাকলে একটু সমস্যা হতে পারে। তারা বান্ধবীদের সঙ্গে নানা ধরণের গল্প করবে। এতগুলোর মেয়ের মধ্যে একটা বিবাহিত মেয়ে থাকলে সেটা যেভাবেই হোক পরিবেশ ভিন্ন দিকে যেতে পারে।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, স্কুলছাত্রীকে প্রতিষ্ঠানে না রাখার বিষয়টি সম্পূর্ণ ম্যানেজিং কমিটির ওপর নির্ভর করছে। তারা যদি ইচ্ছা করে ওই ছাত্রীকে রাখতে পারে। আবার যদি টিসি দেয়ও তাহলে তাদের একথাও বলা যাবে না কেন টিসি দিলেন, মেয়েকে স্কুলে রাখতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। স্কুলের সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় ম্যানেজিং কমিটি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি কমলেও বাড়ছে বন্যার্তদের দুর্ভোগ

বিশ্বসেরা গোলকিপারকে চায় না ম্যানইউ

ঢাবির হলে ছাদের পলেস্তারা খসে আহত শিক্ষার্থী 

রাফীর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে নেই দেবের

শাহবাগ অবরোধে কোটাবিরোধীরা, মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ 

খসে পড়ল ছাদের পলেস্তারা, আহত ৫ শিক্ষার্থী

তিস্তা প্রকল্পে ভারত-চীন একসঙ্গে কাজ করতে রাজি : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

শ্রীলঙ্কার মতো ভুল যাতে না হয়, সতর্ক থাকতে হবে : কাদের

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়েও অবরোধ

দুই বৈশ্বিক আসরের জন্য ভারতের অধিনায়ক ঘোষণা

১০

শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ

১১

কোটাবিরোধী আন্দোলনে সায়েন্সল্যাবে আটকা শতাধিক গাড়ি

১২

কুবি শিক্ষার্থীদের অবরোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ

১৩

এবার ইডেন কলেজছাত্রীদের নীলক্ষেত মোড় অবরোধ 

১৪

ম্যানেজার নেবে এসএমসি, বছরে বোনাস ৩টি

১৫

ফ্রান্সের নির্বাচনে কট্টরপন্থিদের উত্থান, চিন্তিত সংখ্যালঘু ও দ্বৈত নাগরিকরা

১৬

‘ডিববা প্র্যাকটিস’ বন্ধ করতে চান বিএসএমএমইউর উপাচার্য 

১৭

চবি শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ

১৮

অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে সাবেক ওপেনারকে নিয়োগ দিল শ্রীলঙ্কা

১৯

রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিক কারাগারে

২০
X