বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি সকালে ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বুধবার (৩ জুলাই) নদীর পানি ১৬ দশমিক ০৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর মাত্র ২২ সেন্টিমিটার পানি বাড়লেই বিপৎসীমা স্পর্শ করবে।
ইতোমধ্যে সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার চরাঞ্চলের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে সতর্কতার জন্য লোক দেওয়া হয়েছে। বন্যা মোকাবিলার সব রকম প্রস্তুতি আছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী (পাউবো) প্রকৌশলী মো. নাজমুল হক।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, প্রতি ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটারের বেশি পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে বগুড়ার কাছে যমুনার পানি বৃহস্পতিবার বিপৎসীমা স্পর্শ করবে। যমুনা পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৬ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। বুধবার নদীর পানি ১৬ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর মাত্র ২২ সেন্টিমিটার পানি বাড়লেই বিপৎসীমা স্পর্শ করবে।
তিনি জানান, সারিয়াকান্দির কর্নিবাড়ি, কামালপুর, হাটশেরপুর, ফুলবাড়ি, চালুয়াবাড়ির চরাঞ্চলের নিচু জায়গা তলিয়ে গেছে।
এদিকে, সারিয়াকান্দির ইছাদহ গ্রামের ৪০০ মিটার এবং শিমুলতাইড় ৬০০ মিটার ভাঙন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ও টিও ব্যাগ ফেলে নদীভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে লোক দিয়ে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। হঠাৎ বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁধ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। বাঁধের আশপাশের জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, অতি জরুরিভাবে ৫০০ টন চাল, ১০ লাখ টাকা ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবারের চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দুএকদিনের মধ্যে সেগুলো এসে পৌঁছাবে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। বন্যা মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন