বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কারাগারের ছাদ কেটে পালানো সেই ৪ আসামির দুদিনের রিমান্ড

বগুড়া জেলা কারাগার। ছবি : কালবেলা
বগুড়া জেলা কারাগার। ছবি : কালবেলা

বগুড়া কারাগারের কনডেম সেল থেকে পালানোর পর গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চার আসামির দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতের বিচারক মুমিন হাসান এ আদেশ দেন।

চার কয়েদিরা হলেন, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু, নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন, বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মো. জাকারিয়া এবং বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ফরিদ শেখ।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুজন মিঞা বলেন, কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানোর পর গ্রেপ্তার চার কয়েদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, কয়েদিদের এখনো কারাগারে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেল থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদি পালানোর ঘটনায় জেলার ফরিদুর রহমান রুবেলকে প্রত্যাহার করেছে কারা অধিদপ্তর। এর পাশাপাশি দায়িত্বে অবহেলার বিষয় ওঠে আসায় বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষী আব্দুল মতিনসহ আরও পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।

গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে বিছানার চাদরকে রশি হিসেবে ব্যবহার করে পালিয়ে যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি। ওই চার কয়েদি একই সেলে থাকার কারণে, দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে ২৫ জুন রাতে তারা কনডেম সেলের ছাদ কেটে কাপড়ের রশি বানিয়ে ছাদ থেকে নেমে পালিয়ে যায়। পরে ২৬ জুন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জেলখানার অদূরে একটি বাজার থেকে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। জেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে বিষয়টি জানায় ৩টা ৫৬ মিনিটে। এরপর পুলিশের সব ফাঁড়ি এবং টহল দলকে অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪টায় সদর ফাঁড়ির সব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে পলাতক চার আসামিকে ধরে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে কারা কর্তৃপক্ষ গিয়ে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেন। মামলার পর আদালতের মাধ্যমে আবারও তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

ওই ঘটনার দিন সকালেই জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, ডিআইজি প্রিজনসহ একাধিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। এর পাশাপাশি কারা কর্তৃপক্ষসহ মোট ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটির তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বন্যাকবলিত সিলেটে ৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পানির সংকট চরমে 

রোনালদোদের বিদায় করে সেমিতে ফ্রান্স

যে কারণে স্পেনের বিপক্ষে জার্মানিকে পেনাল্টি দেওয়া হয়নি

সিলেটে সাড়ে ২৮ লাখ টাকার মাদক জব্দ

দল সেমিতে গেলেও ইউরো শেষ পেদ্রির

জনগণের সেবক হয়ে উন্নয়নের কাজ করতে চাই : জনপ্রশাসনমন্ত্রী 

বগুড়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ছয়টি পয়েন্টে ১০৬২ মিটার ঝুঁকিপূর্ণ

বেলাবতে চায়না কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬

ক্রুসকে অবসরে পাঠিয়ে সেমিফাইনালে স্পেন

১০

তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ, শতাধিক বসতভিটা বিলীন

১১

কোটার বিরুদ্ধে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

১২

কোটাবিরোধী আন্দোলন / ক্লাস বর্জনের ডাক দিচ্ছে জবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা 

১৩

ওয়ান বাংলাদেশের সন্মিলনে জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গঠনের প্রত্যয়

১৪

দাবাকে ভালোবেসে, দাবার কোর্টেই প্রাণ

১৫

নিষিদ্ধ ভয়ংকর অস্ত্র বানাচ্ছেন পুতিন, টার্গেট কে?

১৬

চিনিকলের আধুনিকায়নে সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ এস আলম গ্রুপের

১৭

আ.লীগ নেতা বাবুল হত্যা, বাঘার পৌর মেয়র ঢাকায় গ্রেপ্তার 

১৮

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর

১৯

মহাকাশেও থামানো যাচ্ছে না ইরানকে

২০
X