টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার তের ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বীজতলা, ফসলি জমি ও বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় খাল ও ড্রেনের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফসলি জমি, পুকুর ও খাল ডুবে গেছে। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চৌদ্দগ্রাম নজমিয়া কামিল মাদ্রাসা, গুণবতী খাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দশবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হাঁটু পরিমাণ পানি জমেছে। এ ছাড়া পৌর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ চেয়ারম্যান বাইপাস সড়ক, লক্ষ্মীপুর সড়ক, পশ্চিম ধনমুড়ি হায়দারপুল সড়কে পানি জমে থাকার কারণে কয়েকটি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার আমন ধানের আগাম বীজতলা।
কৃষকের ঘরে নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজ। দিশাহারা কৃষক। পানি নিষ্কাশনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় আগামী কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে কৃষকরা জানান।
বাতিসা ইউনিয়নের পাটানন্দী গ্রামের মমতাজ উদ্দিন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ভারি বৃষ্টির কারণে বীজতলাসহ শাকসবজির ক্ষেত ডুবে গেছে। এতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পৌর এলাকার ফালগুনকরা গ্রামের কৃষক আবদুল জব্বার চৌধুরী বলেন, টানা বৃষ্টিতে শাকসবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। আমন মৌসুমে ৩০ কেজি ধান কিনে বীজতলা তৈরি করে বীজ ফলানোর কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে বীজতলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ৩০ কেজি ধানের বীজ নষ্ট হয়ে গেছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, উপজেলা কমপ্লেক্সে পানি জমেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত পানি নিষ্কাশন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন