চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আধুনগর ইউনিয়নে ডলু খালের ভাঙনের ফলে সড়কসহ পাড়ের একটি অংশ ভেঙ্গে গিয়েছে, যার ফলে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েকদিনের ভারি বর্ষণের ফলে বেড়েছে ডলু খালের পানি। দুশ্চিন্তা বেড়েছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের। একইসঙ্গে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক হাজার মানুষের।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউনিয়নের সরদানী পাড়ার শেষপ্রান্তে গারাঙ্গিয়া-রশিদিয়া সড়কে ডলু খালের পানি বৃদ্ধির কারণে সড়কসহ পাড়ের একটি অংশ প্রায় ভেঙে গিয়েছে। ভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় বাকিঅংশ ভেঙে আশেপাশের গ্রাম প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। এমন কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও যেতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা।
বিগত এক বছর ধরে ভাঙন দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। খালের কিছু অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সিসি ব্লক বসানো হলেও এ অংশে এখনো কাজ না করায় পানির চাপ বাড়ার ফলে ভাঙন শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
স্থানীয়রা বলেন, এক বছর ধরে খাল পাড়ের এ অবস্থা। আমাদের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বারবার অবহিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। চলতি বর্ষার শুরুতে প্রায় পুরোপুরি ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। পানির স্রোতে ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে গ্রামের হাজার হাজার জনসাধারণের যাতায়াত বন্ধের পাশাপাশি পড়েছে বিপাকে শিক্ষার্থীরাও।
এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন আধুনগর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, হাজী শামসুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয় এবং মছদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী। ভাঙনের কারণে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।
আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন বলেন, আমরা এ বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকবার জানিয়েছি। তারা এটি সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী ধীমান কৃষ্ণ চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের একটি টিম ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছে। সেই সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে কাজ শুরু করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন