পাবনার ঈশ্বরদীতে গৃহবধূর দূরসম্পর্কের এক নানির কটুকথায় অপমান সইতে না পেরে রিয়া খাতুন ও সাজেদুল ইসলাম নামে এক দম্পতি বিষপান করেছে। এতে গৃহবধূ রিয়া খাতুনের পর মারা গেছেন স্বামী সাজেদুল ইসলাম।
সোমবার (১ জুলাই) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
সাজেদুল ইসলাম একই ইউনিয়নের চরগড়গড়ি এলাকার আজতব প্রামাণিকের ছেলে। আর রিয়া খাতুন ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের আজিজতলা এলাকার লেরু মোল্লার মেয়ে।
এর আগে রোববার (৩০ জুন) রাতে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিয়া খাতুন। একই দিন সকালে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি ফটিক মোড়ের আজতব প্রামাণিকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সাজেদুলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, একমাস আগে রিয়া ও সাজেদুল প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করে। রিয়ার পরিবার বিয়ে মেনে না নিলেও সাজেদুলের পরিবার বিয়ে মেনে নেয়। রিয়ার দূর সম্পর্কের এক নানি রিয়ার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে রিয়াকে নানা রকম কটূক্তিমূলক কথা বলে। থুতু ফেলে তাদের ভালোবাসার বিয়ের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন।
এতে চরমভাবে অপমানিত হয়ে সাজেদুল ও রিয়া পরিবারের লোকজনের চোখের আড়ালে নিজ ঘরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে বাড়ির লোকজন বুঝতে পেরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করে। সেখানেই রিয়ার মৃত্যু হয়। সোমবার রাতে সাজেদুল ইসলাম মারা গেছে।
রিয়ার শ্বশুর আজতব প্রামাণিক বলেন, ঘটনার দিন সকালে ছেলের বউয়ের দেওয়া ভাত খেয়ে মাঠে কাজে গেছি। বাড়িতে ছেলে আর ছেলের বউ ছিল। এ সুযোগে রিয়া ও সাজেদুল বিষপান করে। তাদের রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হলে রিয়া মারা যায়। অবশেষে ছেলে সাজেদুলও একদিন পর মারা গেল।
ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নবদম্পত্তি বিষপান করেছে। এর মধ্যে নববধু রিয়া রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। সোমবার রাতে স্বামী সাজেদুলও মৃত্যুবরণ করেন। বিষপানের কারণ জানতে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন