সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

উৎপাদন শুরু হলেও বিপণনে যায়নি সিরাজগঞ্জ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র

সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক প্রকল্পের একটি খণ্ড চিত্র। ছবি : কালবেলা
সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক প্রকল্পের একটি খণ্ড চিত্র। ছবি : কালবেলা

মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই উৎপাদন শুরু হয়েছে সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে। তবে এখনো কমার্শিয়াল অপারেশন ডেট (সিওডি) অর্থাৎ বাণিজ্যিকভাবে বিপণনে যেতে পারেনি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৮ থেকে ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যেটা জাতীয় গ্রিডে যোগ হলেও কোম্পানি কোনো মূল্য পাচ্ছে না।

রোববার (৩০ জুন) থেকেই সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বঙ্গবন্ধু সেতু ও নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর পশ্চিম পাড়ে যমুনা নদীর অববাহিকায় বাংলাদেশ ও চীনের দুটি কোম্পানীর যৌথ অর্থায়নে বিশাল এই সোলার পার্কটির নির্মাণ কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে।

প্রকল্প অফিস সূত্র জানায়, বাংলাদেশের এনডাব্লিউপিজিসিএল (নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লি.) এবং চীনের সিএমসি (চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন) যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ‘সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক’ নামে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৮৮০ কোটি টাকা।

চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড অ্যাক্সপোর্ট কর্পোরেশনের (সিএমসি) ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যমুনাপাড়ের অব্যবহৃত কৃষি জমি বাংলাদেশ ও চীনের দুটি কোম্পানি বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি লি. (বিসিআরইসিএল) নামে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২১৪ একর জমি ২৫ বছর মেয়াদে লিজ নেয়।

পরে ৯ জানুয়ারি ২০২৩ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির পিপিএ (পাওয়ার পার্সেজ এগ্রিমেন্ট) এবং আইএ (ইমপ্লেমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষরিত হয়। ৯ জুলাই ২০২৪ প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও আমরা ৩০ জুন থেকেই উৎপাদন শুরু করেছি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৮ থেকে ১৭ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে যেটা জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে। মিনিমাম ৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেই বাণিজ্যিক বিপণনে যাবে।

প্রকল্প পরিচালক তানভীর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু করি। প্রকল্প শেষ হওয়ার মেয়াদ ছিল ৯ জুলাই ২০২৪। আমরা নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদন শুরু করেছি। বর্তমানে রেডি এবিলিটি (প্রস্তুত ক্ষমতা) রানে রয়েছে। উৎপাদন শুরু হলে জাতীয় গ্রিডে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ১০ দশমিক ২ ইউএস সেন্ট মূল্যে পিডিবির কাছে বিক্রি করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ধারাবাহিক অগ্রগতির চিত্র

২০৩৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি : সংসদে প্রধানমন্ত্রী

ফিল্ড অফিসার নেবে এসিআই

সড়ক অবরোধ করে জবি শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন

বন্যায় কুলাউড়ার ৪৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

জন্মের আগে রেজিস্ট্রি; দলিলে আছে সরকারি হাট ও খেলার মাঠ

শিশু কিডনি চিকিৎসক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হলেন অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম

থানা হাজতে আসামির মৃত্যু, যা মিলল সিসিটিভির ফুটেজে

বিপৎসীমার ওপরে তিন নদীর পানি

কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন বিক্ষোভকারীরা

১০

ফ্রান্সে অনন্ত-বর্ষাকে সম্মাননা প্রদান

১১

কলড্রপ নিয়ে জিপিকে শোকজ

১২

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আর্থিক সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রের

১৩

চট্টগ্রামে কবিরাজ সুলাল হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

১৪

ট্রেন থামিয়ে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

১৫

বিদেশে অনুমতি ছাড়াই প্রদর্শিত হচ্ছে ‘তুফান’ 

১৬

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে গলা কেটে হত্যা

১৭

আগাম জামিন পেলেন যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন 

১৮

ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা হলো না সেনা সদস্যের

১৯

স্কুলবাস চালু না করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের হুঁশিয়ারি 

২০
X