নেত্রকোনার কেন্দুয়া-মদন পাকা সড়কের কেন্দুয়া পৌরশহরের সাউদপাড়া মোড় থেকে জামতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের বেহালদশা। এ রাস্তার জন্য চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
সড়কটির এক কিলোমিটারজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে ধীরে ধীরে গর্তগুলো আরও বড় আকার ধারণ করছে। গর্তে জমে থাকা ময়লাপানি সাধারণ পথচারীসহ যাত্রী ও যানবাহন চালকদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (৩০ জুন) বিকেলে সড়ক ঘুরে পথচারী, যাত্রী ও বিভিন্ন যানবাহন চালকদের ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে। বিশেষ করে, পৌরশহরের সাউদপাড়া মোড় এবং কেন্দুয়া সরকারি কলেজ মোড় এলাকার রাস্তাটির অবস্থা খুবই নাজুক।
এ দুটি মোড়ে পুরো রাস্তা জুড়ে বেশ কয়েকটি বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে এবং এসব গর্তে ময়লা পানি জমে কাদায় সয়লাব হয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি মোড় দিয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ লোকজন প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন। রাস্তার গর্তে যানবাহনের চাকা আটকে কিংবা উল্টে পড়ে প্রায় সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
কেন্দুয়া সরকারি কলেজ মোড় এলাকার ব্যবসায়ী আবু সাদেক তালুকদার বলেন, ভাঙা এ সড়কটির জন্য গত এক দেড় মাস ধরে সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট করছে। প্রায় সময়ই সড়কের বড় বড় গর্তে গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। শনিবার (২৯ জুন) একটা গাড়ি উল্টে গিয়েছিল। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ সড়কে নিয়মিত অটোরিকশাচালক জিয়াউর রহমান বলেন, রাস্তাটার অবস্থা খুব খারাপ। যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন। গর্তে পড়ে গাড়ি হেলেদুলে প্রায় সময়ই উল্টে যায়। আমাদের গাড়িরও ক্ষতি হচ্ছে। রাস্তাটা তাড়াতাড়ি মেরামত করা না হলে আর চলাচল করা যাবে না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আল আমিন সরকার বলেন, সড়কটির অবস্থা খুব খারাপ। পুরো উপজেলায় এরকম আরও কয়েকটি সড়ক রয়েছে। কিন্তু ফান্ডিং স্বল্পতার কারণে সবগুলো রাস্তার সংস্কার কাজ এক সঙ্গে করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আমরা সংস্কারযোগ্য সবগুলো সড়ক মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এরমধ্যে কেন্দুয়া-মদন সড়কটির সংস্কার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খুব তাড়াতাড়ি করা হবে।
মন্তব্য করুন