কয়েকদিন ধরে উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও সোমবার সকাল থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করছে। এতে জেলার ৫ উপজেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও তিস্তা চরাঞ্চল এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করছে। তবে চলাচলের রাস্তাঘাট ও গবাদিপশু নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কাউনিয়া পয়েন্ট তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে আজ সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। আর গতকাল রোববার বিকেলে তিস্তার ব্যারাজ পয়েন্ট পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তবে পানি আবার কমে যাওয়ায় এসব এলাকার বাড়ি ঘর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
আদিতমারী উপজেলা মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিস্তা গোবর্ধন চরবাসীরা জানান, রোববার বিকেল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সন্ধ্যার মধ্যেই তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। আর সোমবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল বলেন, দুদিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও সোমবার সকাল থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করছে। তবে দ্রুত গতিতে পানি নেমে যাওয়ায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন বলেন, দুদিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে পানি কমতে শুরু করছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফউদ্দৌলা বলেন, সোমবার সকাল থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন