সিলেটের জৈন্তাপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের পুরোনো কার্যালয়ে গেলেই চোখে পড়বে ময়লা-আবর্জনা ও শেওলা জমা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের পসরা। দেখেই মনে হবে অনেক বছর থেকেই পড়ে আছে বৈদ্যুতিক এ যন্ত্রসামগ্রী।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের পুরোনো এ কার্যালয়ে এক যুগ থেকে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে ভালো ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাত উপযোগী বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে সরকারের কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
মূলত, ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৯ সালে অফিসটি স্থানান্তর করে জৈন্তাপুর উপজেলার সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের কাটাগাংস্থ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পুরোনো অফিসেই থেকে যায় ট্রান্সফরমারগুলো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ২০১৯ সালে বিদ্যুৎ অফিসটি স্থানান্তর হওয়ার পর থেকে ফেলে রাখা ট্রান্সফরমারগুলো এভাবেই পড়ে আছে এখানে। যে কোনো সময় কেউ চুরি করে নিয়ে গেলেও দেখার কেউ নেই। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখেও না দেখার অভিনয় করছে।
এ বিষয়ে জানতে জৈন্তাপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী সজল চাকলাদার কালবেলাকে বলেন, আমি ২০১৯ সালে অফিসে যোগদান করেছি। যোগদানের আগে থেকে অফিসের পেছনে এগুলো রাখা আছে। এখানের সবগুলো ট্রান্সফরমার নষ্ট। পুরোনো কার্যালয়ের জায়গাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মালিকানা থাকার কারণে ২০১৯ সালে কাটাগাংস্থ একটি বিল্ডিংয়ে অফিস ভাড়া নিয়েছি। নতুন অফিসে ট্রান্সফরমার রাখার জায়গা না থাকায় পুরোনো স্থানেই ট্রান্সফরমারগুলো রাখা হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির কালবেলাকে বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
মন্তব্য করুন