নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুই ভাইকে চাঁদাবাজি থেকে বিরত থাকতে বলে তাদের বাবার কাছে বিচার দেওয়ায় খুন করা হয় ফতুল্লার আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে।
চার আসামিকে গ্রেপ্তারের পর রোববার (৩০ জুন) দুপুর ১২টায় সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী র্যাব সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
এর আগে শনিবার (২৯ জুন) নারায়ণগঞ্জ সদর থানার চর সৈয়দপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত সুরুজ মিয়া ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থসম্পাদক ছিলেন। তিনি এলাকায় ইট-বালুর ব্যবসা করতেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- ফতুল্লার কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আলাউদ্দিন ওরফে হিরা, আল আমিন, রাসেল ও সানি।
র্যাব অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, ঘটনার ১০/১৫ দিন আগে হিরা ও তার ভাই সালাউদ্দিন ওরফে সালু এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবন মালিকের কাছে চাঁদা দাবি করেন। তখন ভবন মালিক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে সুরুজ মিয়ার কাছে বিচার দেন। সুরুজ মিয়া দুই ভাই হিরা ও সালুর পিতাকে বিষয়টি অবহিত করে তাদের চাঁদাবাজি থেকে বিরত থাকতে বলেন।
তিনি বলেন, এ ছাড়া আগে থেকেই নিহতের সঙ্গে দুই ভাইয়ের ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব ছিল। এর জেরে ২৭ জুন হিরার নেতৃত্বে ২০/২৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলিপাড়া জামে মসজিদের সামনের রাস্তায় সুরুজ মিয়ার ছেলে রাজু ও জনির ওপর হামলা করে।
তানভীর মাহমুদ পাশা আরও বলেন, খবর পেয়ে সুরুজ মিয়া ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তারা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে শনিবার আলাউদ্দিন ওরফে হিরাকে প্রধান করে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-১১ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ছায়া তদন্ত শুরু করেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। আলাউদ্দিন ওরফে হিরার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ ফতুল্লা থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। আল আমিনের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক ও নারী ও শিশু নির্যাতনসহ ৫টি মামলা। রাসেলের বিরুদ্ধে রয়েছে দুটি মামলা।
মন্তব্য করুন