নাটোরের বড়াইগ্রামে বাবাকে সংঘর্ষ থেকে বাঁচাতে গিয়ে আশিক সরকার নামের এক ছাত্রলীগ নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার (৩০ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে গত ১৬ জুন বিকেলে উপজেলার চান্দাই বাজারে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মিরন সরকার বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন।
নিহত আশিক সরকার চান্দাই গ্রামের মিরন সরকারের ছেলে। তিনি উপজেলার চান্দাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
মামলার আসামিরা হলেন- চান্দাই গ্রামের প্রধান আসামি সাহেব আলী, ইয়াহিয়া, জাহিদুল প্রামাণিক, নায়েব প্রামাণিক, শাকিব হোসেন, সুইট হোসেন, কামরুল ইসলাম, আব্দুস সোবাহান, আব্দুস সোহরাব ও দুলাল হোসেন।
এ ঘটনায় করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুন বিকেলে পুকুরের মাছ নিয়ে রাজাপুর বাজারে যান। মাছ বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন নিহত আশিক সরকারের বাবা মিরন সরকার। চান্দাই গ্রামের করিম খাঁয়ের মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিরন সরকারের ওপর হামলা করে।
এ ঘটনা শুনে মিরন সরকারের ছেলে আশিক সরকার, মিল্টন সরকার ও চান্দাই গ্রামের হাফিজুর রহমান সজিব, সুমন খান বাবু তাকে উদ্ধার করতে যান। এ সময় তাদেরও মারধর করা হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত আশিক সরকার ও হাফিজুর রহমান সজিবের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।
আসামিরা হলেন- চান্দাই গ্রামে সাহেব আলী, ইয়াহিয়া, জাহিদুল প্রামাণিক, নায়েব প্রামাণিক, শাকি।
নিহতের বাবা মিরন সরকার বলেন, আমাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আমার ছেলে মারা গেছে। আরেকজন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক শাফিউল আযম খান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাচেষ্টার মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য হবে। মামলার এক নম্বর আসামি সাহেব আলী, ৩ নম্বর আসামি শাকিব এবং ৫ নম্বর আসামি জাহিদুল জেলহাজতে আছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন