বগুড়ার আদমদীঘিতে সড়কের পাশে লাগানো সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে মো. টুকু নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে বিহিগ্রাম-বন্তইর সড়ক থেকে অনুমোদন ছাড়াই গাছটি কাটেন তিনি।
মো. টুকু উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসম্পাদক।
জানা গেছে, উপজেলার বিহিগ্রাম বাজার থেকে বন্তইর গ্রামের সড়কের দুপাশে তিন কিলোমিটারজুড়ে বনবিভাগের আওতায় স্থানীয় উপকারভোগীদের মাধ্যমে তিন হাজার শিশু ও ইউক্যালিপটাসসহ নানা ধরনের গাছ রোপণ করা হয়। তারা এসব গাছগুলো দেখাশোনা করতেন।
বেশ কিছুদিন আগে দরপত্রের মাধ্যমে কিছু গাছ কেটে বিক্রি করা হয়। এরপর থেকে নানা অজুহাতে স্থানীয়রা গাছগুলো কাটতে শুরু করেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসম্পাদক টুকু একটি বড় ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে ফেলেন।
চাঁপাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসম্পাদক টুকু বলেন, যে গাছটি কেটেছি ওটা আমার শ্বশুড়ের জমির সঙ্গে লাগানো। বাড়ির কাজের জন্য গাছটি কাটা হয়েছে। আমি একা নই, অনেক মানুষই এরকম গাছ কাটেন।
দুপচাঁচিয়া বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, গাছকাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের লোক পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। গাছকাটার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে থানায় মামলা করা হবে।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আফরোজ কালবেলাকে বলেন, গাছগুলো কোন বিভাগের সেটি জেনে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানাতে হবে। তারাই এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মন্তব্য করুন