লালমনিরহাট ও হাতিবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৫৩ এএম
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:৩২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই তিস্তার পানি, বন্দি ২ হাজার পরিবার

তিস্তা ব্যারেজ। ফাইল ছবি :  কালবেলা
তিস্তা ব্যারেজ। ফাইল ছবি : কালবেলা

উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার ৫ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও তিস্তা চরাঞ্চলের দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।

রোববার (৩০ জুন) সকাল ৮টা থেকে দোয়ানি তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার কাছাকাছি দেখা গেছে।

এর আগে সকাল ৬টা থেকে দোয়ানি তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সকাল ৮টায় ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার নিচে নেমে আসে।

এর আগে শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি মাত্র ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাতেই পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

একই পয়েন্টে শনিবার বিকেল ৩টায় পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। চর এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলা পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের অন্তত দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

আদিতমারী উপজেলা মহিষখোঁচা ইউনিয়নের গোবর্ধন চর এলাকার আলী হোসেন বলেন, শনিবার বিকেল থেকে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সন্ধ্যার মধ্যেই তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। আর রাতেই সেই পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়।

সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, শনিবার বিকেল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাতের মধ্যে পানিপ্রবাহ আরও বেড়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে একই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে সকাল ৮টায় পানিপ্রবাহ ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই অবস্থায় প্রবাহিত হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চমেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিটের নির্মাণকাজ সেপ্টেম্বরে শুরু : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার মোড়ে জবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ 

আকর্ষণীয় বেতনে রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট নেবে সিপিডি

যমুনায় পানি কমায় ব্রহ্মপুত্রে ভাঙন

আ.লীগ সরকারের কাছে আলেম-ওলামারাও রেহাই পায়নি : টুকু

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বেরোবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

ইউরো ২০২৪ / স্টুটগার্টে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, পিতা-পুত্রের স্মরণীয় উদযাপন

বেসরকারি সংস্থায় চাকরির সুযোগ, বেতন ৬০ হাজার

তীব্র বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ইবি শিক্ষার্থীরা

দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন ডিপজল

১০

বিপৎসীমার ওপরে টাঙ্গাইলের সব নদীর পানি

১১

পিজিআরকে অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

১২

পেট্রোম্যাক্স এলপিজিতে নিয়োগ, পদসংখ্যা অনির্ধারিত

১৩

পঞ্চম দিনে কোটাবিরোধী আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীরা

১৪

বৃক্ষমেলার আড়ালে বাণিজ্য মেলা!

১৫

যমুনার পানি বেড়ে ডুবে যাচ্ছে বসতবাড়ি

১৬

আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু ভারত, উন্নয়নের চীন : কাদের

১৭

ভোটে বিজয়ী পেজেশকিয়ান, এরপর কী?

১৮

তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি, বন্যার আশঙ্কা

১৯

তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, বন্যার কবলে ৫ হাজার পরিবার

২০
X