বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্ববৃহৎ ডিজিটাল সার্ভিস প্লাটফর্ম পাঠাও এবং মাইচয়েসের সমন্বয়ে হয়ে গেল দারুণ ক্যাম্পেইন ‘পাঠাও বাজিমাত’। সবচেয়ে বেশি কমপ্লিটেড রাইড দিতে উৎসাহিত করে শীর্ষ ১০ জন পাঠাও কার ক্যাপ্টেনকে পুরস্কার দেওয়ার জন্যই পাঠাওয়ের বিশেষ এই ক্যাম্পেইন।
সেমবার (৩ জুন) রাজধানীর পাঠাওয়ের প্রধান কার্যালয়ে ‘পাঠাও বাজিমাত’ ক্যাম্পেইনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
‘পাঠাও বাজিমাত’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীরা হলেন- নুরুল ইসলাম, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. মহির উদ্দিন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মো. আলমগীর, আতর খন্দকার, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. সেলিম হোসেন ও রাসেল তালুকদার।
পাঠাও এবং মাইচয়েসের পক্ষ থেকে শীর্ষ পারফর্মারদের জন্য ছিল একাধিক ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার ও টেবিলফ্যানসহ ছিল বিভিন্ন পুরস্কার।
গত ১৮ এপ্রিল থেকে ১৭ মে পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনটির মূল লক্ষ্য ছিল পাঠাও ক্যাপ্টেনদের কঠোর পরিশ্রমকে স্বীকৃতি দেওয়া ও পুরস্কৃত করা। এ সময় চলা এই ক্যাম্পেইনে পাঠাও কার ক্যাপ্টেনরা শীর্ষ ১০ স্থান অর্জনের জন্য সবচেয়ে বেশি রাইড কমপ্লিট করার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে পাঠাওয়ের সিনিয়র ম্যানেজার আরিফুর রহমান, ব্র্যান্ড ম্যানেজার মো. আরিফুজ্জামান সিফাত ও সিনিয়র পিআর স্পেশালিস্ট মো. ফয়েজ এবং মাইচয়েস ইলেকট্রনিক্সের পক্ষ থেকে এডমিন-ম্যানেজার তাশরিফ আহমেদ তন্ময় ও প্রোডাকশন অ্যান্ড সার্ভিস ইনচার্জ সঞ্জয় কুমারসহ বিশিষ্ট অতিথিরা পাঠাও ক্যাপ্টেনদের হাতে পুরস্কার বিতরণ করেন।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও, এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করছে যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩ লাখ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ১ লাখ মার্চেন্ট এবং ১০ হাজার রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
মন্তব্য করুন