কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সেই কৃষকের মুখে হাসি, ক্যাপসিকাম কিনে নিল ‘স্বপ্ন’

জামালপুরের ইসলামপুরের কৃষক হৃদয় হাসানের ক্যাপসিকাম কিনে নিল ‘স্বপ্ন’। ছবি : সংগৃহীত
জামালপুরের ইসলামপুরের কৃষক হৃদয় হাসানের ক্যাপসিকাম কিনে নিল ‘স্বপ্ন’। ছবি : সংগৃহীত

ক্ষেত ভরা তরতাজা ক্যাপসিকাম প্রথমবার চাষ করেছিলেন জামালপুরের ইসলামপুরের কৃষক হৃদয় হাসান। তবে সবজির চাহিদা না থাকায় বিক্রি করতে না পেরে হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি । অবশেষে দেশের সবচেয়ে বড় রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ এই কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে।

তরুণ এ কৃষকের ক্যাপসিকামগুলো অবশেষে বিক্রি হয়েছে। সম্প্রতি স্বপ্ন’র একটি টিম কৃষকের সঙ্গে কথা বলে সেদিনই ২৫০ কেজি ক্যাপসিকাম কিনে নেন এবং পরের দিন আবার বাকি সব ক্যাপসিকাম কেনার বিষয়ে কথা সম্পন্ন হয়। এখন থেকে তার উৎপাদিত ক্যাপসিকাম চলে যাবে স্বপ্ন’র আউটলেটে।

এর আগে মার্চ এর প্রথম সপ্তাহে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ‘ক্যাপসিকামের ব্যাপক ফলন, বিক্রি করতে না পেরে কাঁদছেন কৃষক’ এ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদের পড়ে প্রতিনিধির মাধ্যমে সেই কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বপ্ন’র টিম।

স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা ওই কৃষকের কথা জানতে পেরেছি গণমাধ্যমের মাধ্যমে। এরপরই আমাদের টিম সেখানে পৌঁছে যায়। তার প্রোডাক্ট আমরা এরইমধ্যে কিনে নিয়েছি। কৃষকদের এই সংকটে তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে ‘স্বপ্ন’ । যেখানেই সংকট আর বিপর্যয় কৃষকের জন্য কাল, সেখানেই পৌঁছে যাবে ‘স্বপ্ন’ ।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অব পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, সংকটটা ছিল ভিন্ন রকম। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াব। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

কৃষক হৃদয় হাসান জানান, জমি থেকে আজ ক্যাপসিকামগুলো বিক্রি করতে পেয়ে খুবই আনন্দ লাগছে। গাছে আগে বেশি ক্যাপসিকাম ছিল, সে সময় বিক্রি না করতে পেরে অনেক ক্যাপসিকাম নষ্ট হয়েছে। আগে আমি বিক্রির জায়গা খুঁজে পাইনি। প্রতিটি গাছে তিন-চার কেজি করে ফল থাকার কথা ছিল কিন্তু সেটা নেই। এখন প্রতি গাছে এক কেজি মতো ক্যাপসিকাম রয়েছে। সেটা বিক্রি করতে পেরে ভালো লাগছে। স্বপ্নকে ধন্যবাদ দুঃসময়ে আমার পাশে থাকার জন্য ।

উল্লেখ্য, কৃষক হৃদয় হাসান বেকারত্ব দূর করতে ক্যাপসিকাম চাষ করেন। তবে ক্যাপসিকামের চাহিদা না থাকায় বিক্রির বাজার না পেয়ে হতাশা হয়ে পড়ে কৃষক পরিবারটি। বিক্রি সঠিক সময় না করতে পেরে খেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল অনেক ক্যাপসিকাম।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবি ও সাত কলেজের সংঘর্ষের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত : আইন উপদেষ্টা

ঢাবির অধীনে সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ হচ্ছে

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

১০ বিষয়ে একমত বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন

৩৪ বছর পর পাকিস্তানে জয় খরা ঘুচলো ক্যারিবীয়দের

দিল্লিকে ‘বাংলাদেশি’ মুক্ত করার ঘোষণা অমিত শাহের

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা মামলায় শাহীন গ্রেপ্তার

পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে : ডিএমপি কমিশনার

বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে, স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে কাজ

ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফেরার অনুমতি দিল ইসরায়েল

১০

নাশকতার মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী রাব্বি গ্রেপ্তার

১১

৩৫৩৪ জনের নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট

১২

সাত কলেজ ইস্যু / আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

দেশের যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির শঙ্কা

১৪

তিন জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ, বাড়বে তাপমাত্রা

১৫

কাঠগড়ায় স্বামীকে দেখে আপ্লুত রুপা, চাইলেন স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরতে

১৬

জমে উঠেছে সাগরদাঁড়ির মধুমেলা

১৭

ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক

১৮

আল জাজিরার প্রতিবেদন / আওয়ামী লীগ কি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?

১৯

সন্তান হত্যার কঠিন বিচার চান শহীদ মঈনুলের মা-বাবা

২০
X